গোল করার পরে মাওইমিংথাঙ্গার উচ্ছ্বাস। সেমি ফাইনালে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছল ভারত। গুয়াহাটির সরুসজাই স্টেডিয়ামে উজ্জ্বল দেবের তোলা ছবি।
ব্যবস্থাপনায় মোটামুটি উতরে গেলেও সাউথ এশিয়ান গেম্স (স্যাগ)-এ খালি পড়ে থাকা আসনই মুখ পো়ড়াচ্ছে রাজ্যের। কাউন্টারে বলা হচ্ছে, টিকিট শেষ। কিন্তু দর্শকাসনে একের পর এক খালি চেয়ার দেখে আম জনতার বিক্ষোভ চরমে। পরিস্থিতি দেখে মুখ্যমন্ত্রী গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আসর বসেছে উত্তর-পূর্বে। বিভিন্ন বিভাগে খেলা দেখতে টিকিটের চাহিদা ছিল তুঙ্গে। দামও ছিল নামমাত্র, ১০টাকা ও ২০ টাকা। কিন্তু টিকিট কাটতে বিভিন্ন স্টে়ডিয়ামে গিয়ে অধিকাংশ সাধারণ ক্রীড়াপ্রেমীকেই হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। কারণ, কাউন্টারের বড় করে ‘সোল্ড আউট’ বা ‘টিকিট শেষ’ লেখা বোর্ড ঝুলছে। কিন্তু খেলোয়াড়রা যখন খেলতে নামছেন, দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তা ও হাতে গোনা দর্শক বাদে গোটা দর্শকাসনই খালি। এতে খেলোয়াড়দের উৎসাহ যেমন কমছে, তেমনই ওই দৃশ্য টিভিতে দেখে টিকিট না পাওয়া দর্শকদের ক্ষোভও বাড়ছে। ‘টিকিশ শেষ’ লেখা কাউন্টারের সামনে একাধিক বার বিক্ষোভের ঘটনা ঘটেছে।
শূন্যে লড়াই বল দখলের। — নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু কোথায় যাচ্ছে টিকিট?
কর্মকর্তাদের একাংশের দাবি, সৌজন্যমূলক টিকিট হিসেবেই সিংহভাগ টিকিট বিলি করা হয়েছে। যাঁরা টিকিট পেয়েছেন তাঁদের অনেকেই খেলা দেখায় উৎসাহী নন। তাই আসন খালি থাকছে। যাঁদের হাতে টিকিট বিক্রির ভার ছিল, তারাও অনেক টিকিট নিজেরা বাইরে বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ উঠছে। অনলাইনে টিকিট কেটেও অনেকেই আসেননি। কংগ্রেস সূত্রে এমনও দাবি করা হয়েছে, টিকিটের ব্যাপারে দিল্লি থেকে বিজেপি হস্তক্ষেপ করেছে। বিজেপি নেতাদের হাত ঘুরে অপাত্রে গিয়েছে অনেক টিকিট। ভোটের আগে টিকিট বিলিও করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। তিনি বলেন, ‘‘উৎসাহী দর্শক টিকিট পাচ্ছেন না, এ দিকে খালি স্টেডিয়ামে খেলা চলছে— এমন ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা তদন্ত করে দেখার জন্য মুখ্য সচিব ভি কে পিপারসেনিয়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’