Tea Garden

দীপাবলিতেই আঁধার বিন্নাগুড়ি চা বাগানে 

বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেননি।

Advertisement

অরুণাংশু মৈত্র

ধূপগুড়ি শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২০ ০৫:৪৬
Share:

ফাইল চিত্র।

দীপাবলিতেই অন্ধকার নেমে এল ধূপগুড়ি ব্লকের বিন্নাগুড়ি চা বাগানে। শনিবার এই বাগানের কাজ বন্ধের নোটিস জারি করেছেন কর্তৃপক্ষ। এ দিন সকালে বাগানের কাজে যোগ দিতে এসে ‘সাসপেনশন অফ ওয়ার্কে’র বিজ্ঞপ্তির কথা জানতে পারেন চা বাগান শ্রমিকেরা। এর ফলে আচমকাই এই বাগানের প্রায় ১৫০০ শ্রমিক এক ঝটকায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন।

Advertisement

বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দেননি। তাঁদের কিছু দাবি নিয়ে সেদিন থেকেই জয়েন্ট ফোরামের গেট মিটিং চলছিল। তার পর থেকে প্রতিদিনই সকালে গেট মিটিং চলছিল। শুক্রবার বাগানের শ্রমিকদের মজুরিও দেওয়া হয়। শনিবার সকালে বাগান বন্ধের ঘোষণার কথা জানতে পেরে শ্রমিকদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়ে। শ্রমিকেরা চাইছেন, যত শীঘ্র

সম্ভব বাগান কর্তৃপক্ষ কর্মবিরতি তুলে নিন।

Advertisement

এই চা বাগান কর্তৃপক্ষের এ দিনের কর্মবিরতির ঘোষণার প্রেক্ষিতে সবক’টি শ্রমিক সংগঠনের একই বক্তব্য, এ ভাবে কর্মবিরতি ঘোষণা করে বাগান কর্তৃপক্ষের চলে যাওয়া ঠিক হয়নি। যে কোনও দাবিদাওয়া আলাপ আলোচনার মধ্যে মিটে যেতেও পারে। তাঁরা এটা মেনে নিতে পারছেন না।

অন্যদিকে, বাগানের ম্যানেজার নীরেন মিত্র জানান, তিনি ২৩ বছর ধরে বাগানে সিনিয়র ম্যানেজারের পদে আছেন। অন্যান্য বাগানের চেয়ে বিন্নাগুড়ি চা বাগান যথেষ্ট ভাল ভাবেই চলছিল। কোনও দিন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি একটি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রমিকদের ভুল বুঝিয়ে বাগানে অশান্তি তৈরির চেষ্টা চলছিল।

তিনি আরও জানান, মালিকপক্ষও চাইছেন, বাগান ফের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরে আসুক। ওই চা বাগানের মহিলা শ্রমিকেরা জানান, এই করোনা মহামারিতে বাগান ম্যানেজার তাঁদের স্বার্থ দেখেছেন। এই বাগান কোনও দিন বন্ধ হয়নি। বাইরে থেকে কিছু নেতা এসে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন শুরু করাতেই বাগান বন্ধ হয়েছে।

এক শ্রমিক বলেন, ‘‘বাগান বন্ধ হলে আমরা কী খাব, কী করে চলবে আমাদের? জল পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যাবে। তখন আমরা কী করব? আমাদের দুঃখের সময় এই নেতারা কোথায় ছিল?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন