হারারে ধর্ষণ কাণ্ড! অবশেষে টেনশনমুক্ত ধোনিরা

অবশেষে টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে ধর্ষণ কাণ্ডে সামনে এল অভিযুক্তদের পরিচয়। টেনশন কাটল ধোনিদের। টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দুই ভারতীয়কে। তবে সোমবার হারারে পুলিশ জানিয়েছে, কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার নয়, ধৃতেরা হল ভারত-জিম্বাবোয়ে ওয়ানডে সিরিজের স্পনসরদের এক সদস্য কৃষ্ণ সত্যনারায়ণ এবং জাম্বিয়ার এক ব্যবসায়ী রাজকুমার কৃষ্ণণ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০১৬ ১৭:৩৪
Share:

অবশেষে টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে ধর্ষণ কাণ্ডে সামনে এল অভিযুক্তদের পরিচয়। টেনশন কাটল ধোনিদের। টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দুই ভারতীয়কে। তবে সোমবার হারারে পুলিশ জানিয়েছে, কোনও ভারতীয় ক্রিকেটার নয়, ধৃতেরা হল ভারত-জিম্বাবোয়ে ওয়ানডে সিরিজের স্পনসরদের এক সদস্য কৃষ্ণ সত্যনারায়ণ এবং জাম্বিয়ার এক ব্যবসায়ী রাজকুমার কৃষ্ণণ।

Advertisement

ওয়ানডে সিরিজের জন্য টিম ইন্ডিয়া যে হোটেলে উঠেছিল সেখানেই ওই দু’জন অভিযুক্তও থাকছিলেন বলে জানিয়েছে হারারে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকেই জিম্বাবোয়ের ওয়েবসাইটে টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে ধর্ষণের খবর জানানো হয়। ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এক জন ভারতীয় ক্রিকেটার, এমনটাই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। শেষমেশ বিবৃতি দিয়ে তা খণ্ডন করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এ দিন ধৃতদের পরিচয় প্রকাশ্যে আসার পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার বলেছেন, “থ্যাঙ্ক গ়ড! বিষয়টার নিষ্পত্তি হল। আমাদের কয়েক জন তো এটাও জানত না যে, এ ধরনের কিছু ঘটনা ঘটেছে। দেশ থেকে বার বার ফোন আসতে থাকায় ধর্ষণের খবর সম্পর্কে জানতে পারলাম।” অন্য এক ভারতীয় ক্রিকেটার বলেছেন, “এ রকম ভুয়ো খবরে আমাদের উপর যথেষ্ট বিরূপ প্রভাব পড়ে।”

আরও পড়ুন

Advertisement

টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে ধর্ষণ নিয়ে বিতর্ক

পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা। হারারেতে একটি শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে টিম ইন্ডিয়ার হোটেলে উঠেছিলেন তিনি। ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৩৩ বছরের কৃষ্ণ সত্যনারায়ণ ও রাজকুমার কৃষ্ণণের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতে তোলা হলে তাদের পুলিশ হেফাজত হয়। এ দিন হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছে অভিযুক্তদের আইনজীবীরা।

তবে ঘটনায় কৃষ্ণ সত্যনারায়ণের যোগ থাকায় স্পষ্টতই অস্বস্তিতে স্পনসররা। সংস্থার সিইও মুরলী শ্রীনিবাসনের অবশ্য দাবি করেছেন, “কৃষ্ণ সত্যনারায়ণ আমাদের সংস্থার কেউ নয়। তবে আমাদের সংস্থা অনুমোদিত একটি কোম্পানিতে কাজ করত সে। গ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি দেখার কাজে তাদের নিযুক্ত করা হয়েছিল।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন