স্কুল ক্রিকেটে ৪২ বলে ১১৮। সচিনপুত্র অর্জুন তেন্ডুলকরের কীর্তি। শুক্রবার মুম্বইয়ের এক আন্তঃস্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অর্জুনের এই ঝড় তোলা ইনিংসই তার স্কুল ধীরুভাই অম্বানী ইন্টারন্যশনাল স্কুলকে সেমিফাইনালে তুলে দেয়। ছেলের এমন ঝোড়ো ইনিংসে উত্তেজিত সচিন টুইট করেন, “স্ম্যাশ মাস্টার ব্লাস্টার টুর্নামেন্টে অর্জুন ব্যাট করতে নেমে সত্যিই বল স্ম্যাশ করেছে।”
এমনিতেই পুত্র অর্জুনকে নিয়ে মিডিয়াতে প্রচার বা নিজে তার পারফরম্যান্স নিয়ে কিছু বলা পছন্দ করেন না সচিন। ছেলের ক্রিকেট খেলা নিয়ে তিনি এক বার মন্তব্য করেছিলেন, “ছোটবেলায় আমার উপর আমার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করার চাপ ছিল না। আমার ছেলে সবে ওর কেরিয়ার শুরু করেছে। সকলের কাছে অনুরোধ একটা ১৪ বছরের সাধারণ ছেলে যেমন জীবন যাপন করে, অর্জুনকে তেমন ভাবেই চলতে দিন। ওকে খেলাটাকে ভালবাসতে দিন।” কিন্তু অর্জুুনের এই ইনিংস দেখে সেই গর্বিত বাবাও নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি। শনিবার সকালে একটা ছোট টুইটেই বুঝিয়ে দেন, কতটা খুশি তিনি।
ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা তারকার এই টুইট দেখে তাঁর ভক্তরা অনেকেই অর্জুনকে ‘বাপ কা বেটা’ বিশেষণ দিতে শুরু করে দিয়েছেন। অনেকে এখনই আশায়, বাবার মতোই বড় ক্রিকেটার হবেন অর্জুন। দলকে সে সেমিফাইনালে তুললেও অবশ্য ফাইনালে ওঠেনি তার স্কুল। আইইএস ভিএন সুলে গুরুজি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল চ্যাম্পিয়ন হয়।
এ দিকে সচিন জম্মু ও কাশ্মীরের বন্যাদুর্গতদের জন্য প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ত্রাণসামগ্রী পাঠালেন। চারশো জল পরিশোধক যন্ত্র, পাঁচ টন শুকনো খাবার ও সব্জি, এক হাজার কম্বল, ওষুধ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী জম্মুতে পৌঁছেও গিয়েছে বলে জম্মু-কাশ্মীর সরকারের পক্ষে জানান রঞ্জিত কালরা। আরও ত্রাণ পাঠাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, যে বাণিজ্যিক সংস্থাগুলির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর সচিন, তারই অন্যতম এসএআর গ্রুপের সাহায্য নিয়ে এই ত্রাণ পাঠানোর উদ্যোগ নেন তিনি।