আজ থেকে শেষ টেস্ট

সম্মানের রাজবেশে বিদায় চান ক্লার্ক

চতুর্থ অ্যাসেজ টেস্টের পর থেকে মাইকেল ক্লার্ককে প্রকাশ্যে খুব কমই দেখা গিয়েছে। যে টেস্টের পরেই অবসরের সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিয়েছিলেন ৩৪ বছরের বিদায়ী অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সে দিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২৬
Share:

চতুর্থ অ্যাসেজ টেস্টের পর থেকে মাইকেল ক্লার্ককে প্রকাশ্যে খুব কমই দেখা গিয়েছে। যে টেস্টের পরেই অবসরের সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দিয়েছিলেন ৩৪ বছরের বিদায়ী অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক। আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন সে দিন। কিন্তু সপ্তাহ দেড়েক পর কেরিয়ারের শেষ টেস্টে নামার আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ক্লার্কের গলায় আবেগের ছিঁটেফোটাও নেই। মনেই হবে না কেরিয়ারের এই ১১৫তম টেস্টটাই তাঁর শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ।

Advertisement

ক্রিকেট ছাড়া জীবন কাটানোটা কতটা কঠিন? উত্তর এল, ‘‘আর তর সইছে না। মনে হয় ভালই কাটবে।’’ তা বলে শেষ টেস্টের প্রস্তুতিতে কোনও ফাঁক রেখেছেন ভাবলে ভুল হবে। গত সপ্তাহটা টিম থেকে দূরে পরিবারের সঙ্গে লন্ডনে কাটিয়েছেন ক্লার্ক। সেই সময় নর্দাম্পটনে বাকি অজি দল প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যস্ত ছিল। তবে ক্লার্ক বলেছেন, ‘‘লন্ডনে থাকার সময় আমি শেষ টেস্টের প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রত্যেক দিন প্র্যাকটিস করেছি। সেটা ফিটনেস নিয়েই হোক বা অন্যকিছু।’’

ক্রিস রজার্সও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি ওভাল টেস্টের পর ক্লার্কের মতোই অবসর নেবেন। অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে এই শূন্যস্থান কী ভাবে পূরণ হবে? ২০০৬-০৭-এ শেন ওয়ার্ন, গ্লেন ম্যাকগ্রা, ড্যামিয়েন মার্টিন, জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবসর নেওয়ার পর থেকে অজি ক্রিকেটে যেটা দেখা যায়নি। ক্লার্ক বলেছেন, ‘‘একটা বড় পরিবর্তন হবে। তবে ব্যাপারটা অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের জন্য কিন্তু বেশ উত্তেজনাপূর্ণ। আগেই বলেছি অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে প্রতিভার অভাব নেই। সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে মুখিয়ে রয়েছে অনেকে।’’

Advertisement

বিদায়বেলায় অ্যাসেজে হারের লজ্জাটা শেষ ম্যাচে কিছুটা হলেও কাটাতে মরিয়া ক্লার্ক। সিরিজটা ১-৪ হতে না দিয়ে ২-৩ করতে। সতীর্থদের তাই পাল্টা লড়াইয়ে উদ্বুদ্ধ করার কাজটা চলছেই। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু ওভাল টেস্টে নামার আগে সেটা স্পষ্ট ক্লার্কের কথায়। ‘‘সিরিজটা জিততে পারব না এটা ঠিক। কিন্তু আগামী চার বছরে অনেকেই তো খেলতে আসবে এখানে। তাদের জন্য আমাদের এই টেস্টে জয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই মরিয়া লড়াই করতে হবে আমাদের।’’ সঙ্গে আরও যোগ করেন, ‘‘অনেক সময়ই তো কঠিন একটা পর্ব কাটানোর পরই সাফল্য আসে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের ক্রিকেটে এক জন তরুণ প্লেয়ারকে সেটা কিন্তু ভীষণ অনুপ্রেরণা দেয়। সে দিক থেকেও আমাদের একটা দায়িত্ব থেকে যায় সর্বস্ব উজাড় করে এই টেস্ট ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন