East Bengal

যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গল প্র্যাকটিসে ডার্বির দামামা বাজল না

দুই দলের কাছেই তাই ডার্বি দিয়ে আই লিগে নিজেদের চেনানোর তাগিদ। আর লড়াইটা যে আইএসএল-এর সঙ্গেও নিয়ে ফেলেছেন দুই প্রধানের কর্তারা। তাই চ্যালেঞ্জটা মাঠের বাইরেও।

Advertisement

সুচরিতা সেন চৌধুরী

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৫:৩৬
Share:

ডার্বির আগে শেষ প্র্যাকটিস।

মাঠের যে প্রান্তে সাংবাদিকদের জায়গা, তার ঠিক উল্টো দিকে বেশ কয়েক ফুট দূরে দল নিয়ে ওয়ার্ম আপ চলল খালিদ জামিলের। যেন দেখতে দিয়েও আবার দিতে চান না। কী লুকোতে চান? তা তিনিই জানেন।

Advertisement

তবে প্রথম ম্যাচের খেলা বলছে, রক্ষণ ও গোলকিপার ভোগাবে এই দলকে। শনিবারও অনুশীলনে লুই ব্যারেটোকে পর পর গোল হজম করতে দেখা গেল। যদিও ডার্বির আগে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে রয়েছেন তিনিই।

এ দিন সকালে যুবভারতীর রং লাল-হলুদ হয়ে ওঠার কথা ছিল। কিন্তু, তেমনটা হল না। গুটিকয় সমর্থকই স্লোগানে স্লোগানে মাঠ মাতালেন। সেই তালিকায় ছিলেন বেশ কয়েক জন মহিলা। এঁরা প্রথম ডার্বি দেখবেন। উত্তেজনাটা তাই ছিল অনেকটাই বেশি। স্লোগানে নেতৃত্বও দিলেন তাঁরাই। কিন্তু, উল্টো দিকে মাঠের ভিতরের চেহারাটা অনেকটাই অন্য রকম। টান টান উত্তেজনা। ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিলের অধীনে পরিবেশটাই বদলে গিয়েছে অন্দরের। সংবাদ মাধ্যমের জন্য বরাদ্দ মাত্র ১৫ মিনিট। তার পর ‘ক্লোজড ডোর’। যদিও যুবভারতীতে ক্লোজড ডোর ‘নাম কে ওয়াস্তে’। খোলা মাঠে মাঝে মাঝে কালীবাবুর চোখরাঙানি ছাড়া আর কিছুই দেখা যায়নি।

Advertisement

আইজলের কাছে ২-২ ড্র ম্যাচের দলে বিশেষ কোনও পরিবর্তন আনছেন না খালিদ। গোলে মিরশাদের জায়গায় সম্ভবত খেলবেন লুই ব্যারেটো। মহম্মদ রফিককে ডার্বির প্রথম দলে দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। খেলবেন লালডানমাওয়াইয়া রালতে। বাকি দল অপরিবর্তিতই থাকছে। এই দল নিয়েই মোহনবাগানকে হারাতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। তাই নাকি এত রাখঢাক। যদি প্রতিপক্ষ শিবিরে খবর পৌঁছে যায়। সে দিক থেকে মোহনবাগানে অবারিত দ্বার। পুরো অনুশীলন দেখুন, লিখুন— আপত্তি নেই সঞ্জয় সেনের। খালিদ জামিলের অবশ্য ‘না’। তার মধ্যেই প্রায় দু’ঘণ্টার অনুশীলন।

অনুশীলনে হাজির লাল-হলুদের মহিলা সমর্থকরাও।

অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে এলেন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার এডু। গলায় আত্মবিশ্বাসের সুর। গত বছরই খেলেছেন মোহনবাগানে। পুরো দলকে না চিনলেও জানেন কোচ সঞ্জয় সেনের স্ট্র্যাটেজি। তাই যেন আত্মবিশ্বাসটা একটু বেশিই। সুযোগ বুঝে কোচকেও টিপস দিয়ে রেখেছেন। তবে, মোহনবাগানকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ এডু। বরং ক্রোমার মন্তব্যের পাল্টা দিয়ে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘ওরা বড্ড কথা বলছে। খেলাটা তো মাঠে নেমে খেলতে হবে। তখনই বোঝা যাবে।’’ প্রসঙ্গত, মোহনবাগানের ক্রোমা ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে স্লো বলেছিলেন। তারই পাল্টা বলে এটা মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন
খালিদের মাথায় মোহন কোচ, আন্ডারডগ নই বললেন সঞ্জয়

তবে, সোনি নর্ডিকে একশো শতাংশই নম্বর দিচ্ছেন এডু। খেলেছেন সোনির সঙ্গে, এ বার সঙ্গে আমনা। দু’জনের খেলার ধারা আলাদা। তবুও এডু বলেন, ‘‘সোনিকে তো গুরুত্ব দিতেই হবে। কিন্তু, শুধু সোনি নয় পুরো দলই আমাদের প্রতিপক্ষ। সবার কথাই মাথায় রাখতে হবে।’’ এখনও ডার্বি হারেননি এডু। সেই ধারাই ধরে রাখতে চাইছেন তিনি। এই যুবভারতীতেই আই লিগের শুরুটা ভাল হয়নি ইস্টবেঙ্গলের। মোহনবাগানও প্রথম ম্যাচে আটকে গিয়েছে নবাগত দল মিনার্ভা পঞ্জাবের কাছে। দুই দলের কাছেই তাই ডার্বি দিয়ে আই লিগে নিজেদের চেনানোর তাগিদ। আর লড়াইটা যে আইএসএল-এর সঙ্গেও নিয়ে ফেলেছেন দুই প্রধানের কর্তারা। তাই চ্যালেঞ্জটা মাঠের বাইরেও। অনুশীলন শেষে জনে জনে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেল ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকারকে।

ছবি: সুচরিতা সেন চৌধুরী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন