Sports News

অলিম্পিকের সময় ঘড়ির কাঁটা ২ ঘণ্টা এগিয়ে দিচ্ছে জাপান

জাপানের গরম নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় আয়োজকরা। এই জুলাই পর্যন্ত গরমে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। রেকর্ড গরম পড়েছে এ বার। সরকার জানিয়েছে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও অ্যাথলিটদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে এমনই ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

টকিও শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৮ ১৮:১৮
Share:

গরমে আপাতত দিনে বন্ধ টোকিওতে অলিম্পিক স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ছবি: রয়টার্স।

বদলে যাচ্ছে ঘড়ির কাটা। এগিয়ে যাচ্ছে দু’ঘণ্টা। এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে জাপানই। গরম থেকে বাঁচতে ঠিক এমনটাই পরিকল্পনা ২০২০ অলিম্পিকের সময়।

Advertisement

জাপানের গরম নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় আয়োজকরা। এই জুলাই পর্যন্ত গরমে মৃত্যু হয়েছে ১২০ জনের। রেকর্ড গরম পড়েছে এ বার। সরকার জানিয়েছে এখনও সিদ্ধান্ত না হলেও অ্যাথলিটদের গরমের হাত থেকে বাঁচাতে এমনই ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এটা সত্যি নয় যে সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। কারণ এই ধরণের সিদ্ধান্ত স্থানীয়দের জীবনে বড় প্রভাব ফেলবে।

তাদের তরফে আরও জানানো হয়, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে ইভেন্টের সময় এগিয়ে আনা। আরও সবুজ বাড়ানো শহর জুড়ে। ২০২০তে টোকিও অলিম্পিকের আসর বসবে জুলাই-অগস্টে। সেটাই জাপানের সব থেকে গরম ও আদ্রতার সময়। অলিম্পিক অফিসিয়ালরা জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে অনুরোধ করেছিল ‘ডে-লাইট সেভিং টাইম’ ব্য়বহার করতে। যাতে ইভেন্টগুলো কড়া রোদ ওঠার আগেই শেষ করা যায়। বিশেষ করে ম্যারাথনের মতো ইভেন্ট সকাল থাকতে থাকতেই শেষ করে ফেলা যায়।

Advertisement

আরও পড়ুন
ভারতের কাছে প্রথম হার ইরাকের, হারাল অনূর্ধ্ব-১৬ দল

এই বছর এই সময়ে জাপানের গরমের যা অবস্থা তাতে ২০২০ বিশ্বকাপের সময় ঘড়ির কাটা এগিয়ে নিয়ে আসা হবে। সেটা জুন থেকে অগস্টের মধ্যে দু’ঘণ্টা সময় এগিয়ে আনা হবে। আগামী বছর এই সময় পরিবর্তনের ট্রায়াল হবে। সেটা সুষ্ঠভাবে হলে অলিম্পিকের বছরে কাজে লাগানো হবে। এর আগেও এই পদ্ধতির দ্বারস্থ হয়েছিল জাপান। সেটা যুদ্ধের পর। কিন্তু সেই সময় কর্মীরা অভিযোগ করতে থাকে এর জন্য তাদের বসের তাদের বেশি সময় খাটাচ্ছে। তার পর ১৯৫২ সালে সেই ডে-লাইট সেভিং তুলে নেওয়া হয়।

যেখানে ছায়া পাচ্ছেন সেখানেই আশ্রয় নিচ্ছেন পথ চলতি মানুষ। ছবি: রয়টার্স।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন