রাফা-রজার ফাইনালের দরজা খোলা

দুই মহাতারকাই অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন চলতি বছরে। ফেডেরার তাঁর অধরা আঠেরোতম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৭ ০৪:৩৭
Share:

রজার ফেডেরার বনাম রাফায়েল নাদাল স্বপ্নের ফাইনাল? আবারও কি দেখা যাবে উইম্বলডনে? সেই সম্ভাবনা কিন্তু থাকছে। উইম্বলডনের যে ড্র হয়েছে, তাতে রাফা-রজার ফাইনালের আগে মুখোমুখি হচ্ছেন না।

Advertisement

সেমিফাইনালে দেখা হতে পারে নাদালের সঙ্গে গত বারের চ্যাম্পিয়ন অ্যান্ডি মারের। তেমনই ফেডেরার পড়তে পারেন নোভাক জকোভিচের সামনে। যদি এঁরা প্রত্যেকে নিজেদের সব ম্যাচ জিতে শেষ চারে পৌঁছন। তার পর সেমিফাইনালের হার্ডল টপকাতে পারলে রাফা-রজার ক্লাসিক ফাইনাল দেখা যেতে পারে।

দুই মহাতারকাই অসাধারণ প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছেন চলতি বছরে। ফেডেরার তাঁর অধরা আঠেরোতম গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন বছরের শুরুতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে। সেখানে ফাইনালে তিনি হারিয়েছিলেন নাদালকেই। তার পর উইম্বলডনের জন্য তরতাজা থাকবেন বলে ফেডেরার নামেননি ফরাসি ওপেনে। চোট সারিয়ে প্রায় পুরনো ফর্মে ফিরে আসা নাদাল রেকর্ড দশম বার ফরাসি ওপেন জেতেন। নাদাল যেমন ফরাসি ওপেনের ক্লে কোর্টে অপরাজেয়, ফেডেরারের প্রিয় শিকারের জায়গা তেমনই উইম্বলডনের ঘাসের কোর্ট। এ বার তিনি রেকর্ড অষ্টম খেতাব জয়ের লক্ষ্যে নামবেন। উইম্বলডন শুরু হচ্ছে সোমবার। তৃতীয় বাছাই ফেডেরারের প্রথম প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের আলেকজান্ডার দোলগোপোলভ। চতুর্থ বাছাই নাদাল প্রথম রাউন্ডে খেলবেন অস্ট্রেলিয়ার জন মিলম্যানের সঙ্গে। রাজা-রজারকে নিয়ে উত্তুঙ্গ আশা তৈরি হওয়ার আরও কারণ, তাঁদের দুই অনুজ প্রতিদ্বন্দ্বীর ফর্ম।

Advertisement

একটা সময় ছিল যখন মনে করা হচ্ছিল নোভাক জকোভিচকে আর কেউ থামাতেই পারবে না। তখন প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল ফেডেরার, নাদালকে নিয়েই। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে গিয়েছে। ফেডেরার এবং নাদাল দারুণ ভাবে ফিরে এসেছেন। উল্টো দিকে জকোভিচ এবং মারে তাঁদের সেরা ফর্ম হারিয়েছেন। গত বারের চ্যাম্পিয়ন মারে এ বারের উইম্বলডনে একশো শতাংশ ফিট থেকে নামতে পারবেন কি না, সেটাই সন্দেহ। তবে মারের কোচ ইভান লেন্ডল এ দিন বলেছেন, তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত সুস্থ হয়েই উইম্বলডনে নামতে পারবেন মারে। চলতি সপ্তাহেই দু’টি গ্রাস কোর্টে প্রদর্শনী ম্যাচ থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন মারে। যার ফলে তাঁকে নিয়ে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ আরও বেশি করে তৈরি হয়েছে। তবে লেন্ডলের আশ্বাস কতটা সেই অনিশ্চয়তার মেঘ কাটাতে পারে সেটাই দেখার। লেন্ডল জানিয়েছিলেন, আবহাওয়া ভাল থাকলে শুক্রবারই প্র্যাকটিসেও নামবেন মারে। কোচের কথা মতোই শুক্রবার মারে তিনটি প্র্যাকটিস সেশনও করেন। এবং জানান, ফিটনেস নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।

আরও পড়ুন:

ভারতীয় দলের কোচ নির্বাচনে অকপট সৌরভ

কঠিন ড্রয়ের মুখেও পড়েছেন মারে। তৃতীয় রাউন্ডে তাঁকে খেলতে হতে পারে ডাস্টিন ব্রাউনের সঙ্গে। যিনি নাদালকে হারিয়ে দিয়েছিলেন। জকোভিচকেও তেমনই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে। তাঁকে তৃতীয় রাউন্ডের পর থেকে খেলতে হতে পারে গেল মঁফিস এবং দেল পোত্রোর সঙ্গে। ২০১৩ সালে ম্যারাথন পাঁচ সেটের লড়াইয়ে আর্জেন্তিনীয় দেল পোত্রোকে হারিয়েছিলেন জকোভিচ।

তুলনায় ফেডেরার বা নাদালের রাস্তা সহজ না হলেও জকোভিচদের মতো অত কঠিনও নয়। ফেডেরারের সামনে পড়তে পারেন মিয়োস রাওনিচ, আলেকজান্ডার জেভেরেভ-রা। নাদালের সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জার হতে পারেন জাপানের তারকা কে নিশিকোরি। উইম্বলডনের দিন তিনেক আগে ড্র প্রকাশের পরে সব চেয়ে বেশি আলোচনা এখন এটা নিয়েই যে, ফেডেরার বনাম নাদাল উইম্বলডনে চতুর্থ ফাইনাল হবে কি? ২০০৬, ২০০৭ এবং ২০০৮— তিন বার ফাইনাল খেলেছেন তাঁরা।

মেয়েদের বিভাগে যদিও এ বারে জৌলুস অনেকটাই কমে গিয়েছে দুই সেরা তারকা না থাকায়। সেরিনা উইলিয়ামস মা হতে চলেছেন বলে খেলছেন না। মারিয়া শারাপোভা নির্বাসন কাটিয়ে ফিরলেও উইম্বলডনের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি। বিতর্কের জেরে তাঁকে ওয়াইল্ড কার্ডও দেওয়া হয়নি। এই দু’জনের অনুপস্থিতিতে গত বারের ফাইনালিস্ট অ্যাঞ্জেলিক কের্বের, ফরাসি ওপেনে এ বারের ফাইনালিস্ট সিমোনা হালেপের দিকে নজর থাকতে পারে। ভার্জিনিয়া ওয়েডের পর য়োহানা কন্তা প্রথম ব্রিটিশ হিসেবে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে পারেন কি না, তা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু শিরদাঁড়ায় চোট পেয়ে কন্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন