এস্তার স্তাবুলি। যার বাঁশি মহিলা রেফারিংয়ের রেভলিউশন আনতে চলেছে। ছবি: ফিফা।
তাঁকে নিয়ে যত খবর অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আসরে। কারণ ১৬ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও মহিলা রেফারিকে দেখা গেল বিশ্বকাপ পরিচালনা করতে।
তিনি এস্তার স্তাবুলি। কলকাতার বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ১৪ অক্টোবর জাপান-ক্যালেডোনিয়া ম্যাচ দিয়ে লেখা হয়েছিল এই ইতিহাস। যদিও পুরুষ-নারীর এই বিভেদে ঢুকে পড়তে নারাজ তিনি। বরং তাঁর কাছে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মাঠে নেমে নিজের সেরাটা দেওয়া। ঠিক যে ভাবে ফুটবলাররা ভাবেন। রেফারিদের কাছেও সেটাই মূল লক্ষ্য। স্তাবুলির ইতিহাসের দিনে কলকাতায় জাপান-ক্যালেডোনিয়া ম্যাচ ১-১ ড্র হয়েছিল।
আরও পড়ুন
খেলতে খেলতেই মৃত্যু ইন্দোনেশিয়ার গোলকিপার হুদার
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে দু’ধাপ উঠল ভারত
সুইৎজারল্যান্ডের এই স্কুল শিক্ষিকার রেফারিংয়ে আসাটা অবশ্যই পারিবারিক কারণে। বাবা-কাকাদের সৌজন্যে ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের মধ্যেই বড় হয়েছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘আমার মনে হয় না ছেলে বা মেয়ে রেফারির মধ্যে কোনও পার্থক্য রয়েছে। শেষ কথা বলবে, মাঠে নেমে তুমি কতটা ভাল ভাবে খেলা পরিচালনা করছ সেটাই।’’ ফিফা ওয়েবসাইটকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ-ও জানিয়েছেন তাঁর কাছে বিশ্বকাপ বলে আলাদা কিছু নেই। সব ম্যাচ যে ভাবে পরিচালনা করেন সে ভাবেই এই ম্যাচকেও দেখেছেন তিনি। বলেন, ‘‘আমার কাছে এটা আরও একটা ম্যাচ ছিল। পরে বিষয়টি ভেবে অনেক বেশি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। বুঝেছিলাম এটা একটা বিশেষ ব্যাপার ছিল। কিন্তু তার আগে পর্যন্ত আরও একটা ম্যাচ হিসেবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম।’’
২০০১এ অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে কোরিয়ার ইম ইয়ুনজু রেফারিং করেছিলেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় আয়োজিত বিশ্বকাপে ফ্রান্স বনাম ইউএসএ ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন এই মহিলা রেফারি। ১৬ বছর পর আবার কোনও মহিলা রেফারিকে দেখা গেল বিশ্বকাপের আসরে বাঁশি মুখে নামতে। এস্তারের ম্যাচ পরিচালনার খুশি দুই কোচ। এস্তার বলেন, ‘‘এটা শুনে খুব ভাল লাগছে যে তাদের আমার ম্যাচ পরিচালনা পছন্দ হয়েছে। এবং ওরা আমাকে আলাদাভাবে দেখেনি।’’ ২০১৫ মহিলা বিশ্বকাপের পর থেকেই ফিফার রেফারিং ডিপার্টমেন্ট মহিলা ও পুরুষ রেফারিদের একসঙ্গে ট্রেনিং করানোর প্রস্তুতি শুরু করে। ২০১৬তে শুরু হয়ে এই প্রস্তুতি। এর পরই সাত জন মহিলা রেফারিকে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে নিয়ে আসা হয়। এখনও পর্যন্ত বাকিরা চতুর্থ রেফারি হিসেবেই কাজ করেছেন। এই প্রথম এস্তারকে দেখা গেল রেফারির ভূমিকায়।