Cricket

সিডনির গোলাপি টেস্ট এবং জেন ম্যাকগ্রা ডে

এই বিশেষ দিনটিতে সিডনিতে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেট ভক্তদের গায়ে কিছু না কিছু থাকেই, যার রং গোলাপি। এসসিজিতে মহিলাদের দর্শকাসনের নাম এই একটি দিনের জন্য হয়ে যায় ‘জেন ম্যাকগ্রা স্ট্যান্ড’। শনিবার চলতি বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির চতুর্থ তথা শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা চলার সময় দু’দলের ক্রিকেটাররাও গোলাপি রংয়ের এমব্লেম পরে রইলেন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০১৯ ১৭:২৯
Share:

ম্যাকগ্রার হাতে গোলাপি টুপি তুলে দিলেন কোহালি। শনিবার সিডনিতে। ছবি: এএফপি।

ক্রিকেটের রং বদলে হয়ে গেল গোলাপি! অবাক হচ্ছেন? কিন্তু সত্যি যে এটাই। অস্ট্রেলিয়ার গ্রীষ্মে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে জমজমাট ব্যাট-বলের লড়াই। আর তার সঙ্গেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে আবেগ আর মন খারাপ করে দেওয়া বিষণ্ণতা। টেস্ট ক্রিকেটে সর্বকালের অন্যতম সেরা পেসার গ্লেন ম্যাকগ্রার প্রয়াত স্ত্রী জেনের স্মৃতিতে এসসিজি টেস্টের তৃতীয় দিনটি চিরাচরিত ভাবেই ‘জেন ম্যাকগ্রা ডে’।

Advertisement

এই বিশেষ দিনটিতে সিডনিতে খেলা দেখতে আসা ক্রিকেট ভক্তদের গায়ে কিছু না কিছু থাকেই, যার রং গোলাপি। এসসিজিতে মহিলাদের দর্শকাসনের নাম এই একটি দিনের জন্য হয়ে যায় ‘জেন ম্যাকগ্রা স্ট্যান্ড’। শনিবার চলতি বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির চতুর্থ তথা শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা চলার সময় দু’দলের ক্রিকেটাররাও গোলাপি রংয়ের এমব্লেম পরে রইলেন। সিডনির পুলিশ বিভাগের কর্মীরাও এদিনকার মতো নীল রংয়ের টুপি ছেড়ে মাথায় তুললেন গোলাপি রঙা টুপি।

শনিবার দিনের খেলা শুরু হওয়ার আগে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া— দু’দলের ক্রিকেটাররাই গ্লেন ম্যাকগ্রার হাতে তুলে দিলেন গোলাপি রংয়ের টুপি। প্রাক্তন অজি পেসারের স্ত্রী বিয়োগের পর টানা ১১ বছর ধরে এই প্রথাই চলে আসছে। ম্যাকগ্রা বলছেন, এটা যে ধারাবাহিক একটা রীতি হয়ে যাবে তা তিনি নিজেও ভাবেননি।

Advertisement

আরও পড়ুন: টিম ইন্ডিয়া এখন পূজারাকে কী নামে ডাকছে জানেন?

আরও পড়ুন: ব্যাটে নয়, সততায় ক্রিকেটমহলের মন জিতলেন লোকেশ রাহুল

টেস্ট ক্রিকেটে পাঁচশোরও বেশি উইকেটের মালিক ৪৮ বছর বয়সী ম্যাকগ্রার কথায়, “আমার কাছে এটা প্রায় কল্পনাতীত ছিল। ফি বছরই এই দিনটা আরও ভাল ভাবে, আরও বড় করে পালিত হচ্ছে। যেখানেই থাকুক না কেন, জেন নিজেও হয়ত খুব অবাক হচ্ছে। বিস্মিতও। হয়ত বা একটু লজ্জিতও। সকলেই ওকে যেমন সম্মান দিচ্ছে! তবে, একই সঙ্গে নিশ্চয়ই ও আজ খুব গর্বিতও।’’

জেনের স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে গ্লেনের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার বছর দু’য়েক আগে। প্রাথমিক চিকিত্সার পর মনে করা হয়েছিল, রোগটা সেরে গিয়েছে। এরপর জেন দুই সন্তানের জন্ম দেন। ২০০৫ সালে স্বামী-স্ত্রী মিলে গড়ে তোলেন গ্লেন ম্যাকগ্রা ফাউন্ডেশন। ঠিক তার পরের বছর মারণ রোগ ফের মাথাচাড়া দেয়। এরপর জেন আর বেশি দিন বাঁচেননি। ২০০৮ সালে প্রয়াত হন। আর তারপর থেকেই অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সফররত দলের সিডনি টেস্টের তৃতীয় দিন উত্সর্গ করা হয় মিসেস ম্যাকগ্রার নামে।

(আইসিসি বিশ্বকাপ হোক বা আইপিএল ,টেস্ট ক্রিকেট, ওয়ান ডে কিংবা টি-টোয়েন্টি। ক্রিকেট খেলার সব আপডেট আমাদের খেলা বিভাগে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন