ঠিক লাইন-লেংথে বোলিং
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে আমরা ভাল বোলিং করতে পারিনি, এটা ঠিক নয়। ধারাবাহিক ভাবে ভাল বোলিং করতে পারিনি। ইউনিট হিসেবে ভাল বোলিং করতে পারিনি। বিশ্বকাপের আগে আমরা ভাল করে দেখেছি, কোন জায়গাটায় বল করে আমরা বিপক্ষ ব্যাটসম্যানকে চাপে ফেলেছিলাম। তার পর সেই চ্যানেল নিয়ে বোলারদের সঙ্গে আলোচনা করি। একবার বোলারদের মাথায় ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর বাকি কাজটা ছিল প্র্যাকটিসে জিনিসটা নিখুঁত করা।
প্র্যাকটিসে কী বিশেষত্ব
আমরা বেশির ভাগ সময়ে সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করার সুযোগ পেয়েছি। যেটা বোলারদের লাইন-লেংথ ঠিক করায় সাহায্য করেছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরাও বোলারদের ঠিক লাইনে বল করার ব্যাপারে প্রচুর টিপস দিয়েছে। সেন্টার উইকেটে প্র্যাকটিস করার সময় ব্যাটসম্যানরা এসে বোলারদের বলেছে, কোন এরিয়ায় বল করলে রান উঠবে, কোথায় করলে রান তোলা কঠিন।
ঠিক চ্যানেলটা বাছা
আমরা দু’ভাবে একজন বোলারকে বিশ্লেষণ করি। কত বেশি রান দিচ্ছে, আর কত কম রান দিচ্ছে। আমাদের ভিডিও অ্যানালিস্ট প্রতিটা ডেলিভারি কাটাছেঁড়া করে। তার পর আমরা বিশেষ বিশেষ জায়গা চিহ্নিত করি, যেখানে বল করলে ব্যাটসম্যানদের সমস্যা হয়। প্লাস এটাও দেখা হয়, কোন জায়গায় বল করলে রান উঠছে। একবার ব্যাটসম্যানদের দুর্বল জায়গাগুলো ঠিক করে ফেলার পর, প্র্যাকটিসে সেই চ্যানেলে বল করাটা নিখুঁত করা হয়।
মহম্মদ শামির সাফল্য
এই মুহূর্তে বিশ্ব ক্রিকেটে যে ক’জন পেসারের বল রিলিজটা সবচেয়ে ভাল, তাদের মধ্যে শামি এক জন। ডেলিভারির সময় আর বল পিচ পড়ার সময় সিমটা অসাধারণ জায়গায় থাকে। এ ছাড়া ১৪০-এর উপর গতিতে বল করে যেতে পারে, সিম পজিশনটা ঠিক রেখে। দুর্দান্ত প্রতিভা।
নতুন নিয়ম সামলানো
নতুন নিয়মটা দু’ ভাবে দেখা যায়। এক, আপনি খারাপ বল করলেন আর প্রচুর রান দিলেন। দুই, আপনি যদি ফিল্ড অনুযায়ী বল করেন, তা হলে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে পারবেন। বোলাররা ঠিক ফিল্ড প্লেসিং অনুযায়ী বল করতে পারলে সার্কেলের পাঁচ জন ফিল্ডার ব্যাটসম্যানকে চাপে ফেলে দেবে। আমরা এই রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি করে প্র্যাকটিস করেছি। এখন পর্যন্ত প্ল্যানগুলো সব কাজে দিয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতেও দেবে।