টেডি শেরিংহ্যাম বনাম অ্যাশলে ওয়েস্টউড সংঘাতে অগ্নিগর্ভ এটিকে অন্দরমহল! পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে ইন্ডিয়ান সুপার লিগ (আইএসএল)-এর মাঝপথেই হয়তো সরে যেতে পারেন বেঙ্গালুরু এফসি-কে দু’বার আই লিগে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ ওয়েস্টউড।
আতলেতিকো দে মাদ্রিদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে এই মরসুমে কোচও বদলে ফেলেছেন এটিকে কর্তারা। গত বছর আইএসএলে এটিকে-কে চ্যাম্পিয়ন করা কোচ জোসে মোলিনা-র পরিবর্তে দায়িত্ব দিয়েছেন প্রাক্তন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড তারকা টেডি শেরিংহ্যামকে। টেকনিক্যাল ডিরেক্টর (টিডি) হিসেবে নিয়োগ করেন ওয়েস্টউডকে। এই মরসুমের ফুটবলার নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনিই মূখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন। ওয়েস্টউডের পরামর্শেই বেঙ্গালুরু এফসি-র ইউজেনসন লিংডো, রবিন সিংহ, কিগান পেরিরা ও শঙ্কর শামপিনজিরাজ-কে সই করিয়েছে এটিকে। অথচ আইএসএলের শুরুতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। কোচিতে প্রথম ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্স এফসি-র বিরুদ্ধে ড্র। রবিবার ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এফসি পুণে সিটি ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করেছে এটিকে-কে। এর পরেই অন্দরমহলে ধিকি ধিকি জ্বলতে থাকা আগুন দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেফতার চেন্নাইয়ান এফসির দুই সমর্থক
এটিকে অন্দরমহলের খবর, কোচ ও টেকনিক্যাল ডিরেক্টারের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি শুরু প্রাক টুর্নামেন্ট প্রস্তুতি শিবির থেকেই। সূত্রের খবর, শেরিংহ্যামের কোচিং পদ্ধতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন তুলেছেন সুনীল ছেত্রীদের প্রাক্তন কোচ। যা একেবারেই ভালভাবে নেননি স্যার আলেক্স ফার্গুসনের প্রিয় ছাত্র। দুই কোচের সংঘাত আরও বেড়েছে আইএসএল শুরু হওয়ার পরে। জানা গিয়েছে, ম্যাচে শেরিংহ্যামের স্ট্র্যাটেজি নিয়েও প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানিয়েছেন ওয়েস্টউড। দু’জনের মধ্যে বাক্যালাপও বন্ধ। এখানেই শেষ নয়। নিজের বেছে আনা ফুটবলারদের সঙ্গেও নাকি সংঘাত বেধে গিয়েছে ওয়েস্টউডের। টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দুর্ব্যবহারে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে ফুটবলারদের মধ্যে।
দু’ম্যাচে এক পয়েন্ট। দশ দলের আইএসএলে ন’নম্বরে এই মুহূর্তে এটিকে। ১ ডিসেম্বর জামশেদপুর এফসি-র বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। বৃহস্পতিবার সকালে মেহতাব হোসেন, সুব্রত পাল-দের বিরুদ্ধে খেলতে জামশেদপুর রওনা হচ্ছে দল। তার আগে অন্দরমহলের অশান্তি থামাতে আসরে নেমে পড়েছেন এটিকে কর্তারা। সোমবার সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে অনুশীলনের পরেই শেরিংহ্যাম ও ওয়েস্টউডকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিলেন এটিকের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) রঘু আইয়ার। যদিও সেই বৈঠক খুব ফলপ্রসু হয়েছে বলে খবর নেই। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে শেরিহ্যাম ও ওয়েস্টউডের মধ্যে কেউ এক জন টুর্নামেন্টের মাঝপথে দায়িত্ব ছাড়বেন। সম্ভাবনা অবশ্য ওয়েস্টউডেরই বেশি।