পরিচয়পত্র নিয়ে উত্তপ্ত সিএবি

মঙ্গলবার বিশ্বরূপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আইপিএলের আগে টিকিটের লোভে মরসুমি পাখির মতো উড়ে এসে সিএবিতে জুড়ে বসেছেন কয়েকজন অস্থায়ী কর্তা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:৪১
Share:

চলতি আইপিএলে অশান্তির কালো মেঘ জমতে শুরু করেছে ইডেনের আকাশে। যার জেরে শনিবার বিকেলে আইপিএলের ম্যাচের সময় মেয়ো রোডের গাঁধী মূর্তির নীচে এক দল বিক্ষোভকারীকে ধর্নায় বসতে দেখা যেতে পারে।

Advertisement

কিন্তু কী নিয়ে অশান্তি? অভিযোগ উঠেছে, প্রায় ৫০ জন এমন ব্যক্তিকে এ বার আইপিএলে অনুমোদিত পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে, যাঁদের সঙ্গে সিএবি-র কোনও সম্পর্কই নেই। অভিযোগকারীদের মধ্যে রয়েছেন সিএবি-র প্রাক্তন সচিব বিশ্বরূপ দে। ইডেনে আইপিএলের প্রথম ম্যাচে সে রকমই এক ব্যক্তির অনুমোদিত পরিচয়পত্র পাওয়া গিয়েছিল, যিনি সিএবি-র সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। তাঁর গলায় সিএবি কর্তাদের জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র ঝুলতে দেখা গিয়েছিল সে দিন। এই ব্যক্তিকেই আবার ভারত-ইংল্যান্ড ম্যাচেও অতিথিদের জন্য নির্ধারিত পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছিল। এ রকম আরও অনেকেই আছেন বলে অভিযোগ উঠছে, যাঁদের সিএবি-তে সারা বছর দেখা যায় না, অথচ আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ম্যাচের সময় তাঁরা ভিড় জমান ইডেনের ক্লাব হাউসে।

মঙ্গলবার বিশ্বরূপ সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘আইপিএলের আগে টিকিটের লোভে মরসুমি পাখির মতো উড়ে এসে সিএবিতে জুড়ে বসেছেন কয়েকজন অস্থায়ী কর্তা। ওঁদের জন্য ম্যাচের আমন্ত্রণী টিকিট পাচ্ছেন না প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রিকেটাররা এবং সিএবির স্থায়ী কর্তারা। এঁদের বঞ্চিত করে বহিরাগতদের গুরুত্ব দেওয়ার নিশ্চয়ই কোনও উদ্দেশ্য বা
স্বার্থ রয়েছে।’’

Advertisement

আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এই অভিযোগের কোনও সদুত্তর না পাওয়া গেলে শনিবার আসন্ন কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ম্যাচের দিন মেয়ো রোডের গাঁধী মূর্তির নীচে মোমবাতি ও কালো কাপড় নিয়ে ধর্নায় বসার হুমকিও দেন তিনি। ভারতীয় বোর্ডের প্রশাসক কমিটির প্রধান বিনোদ রাইকেও চিঠি দিয়ে এই অভিযোগ করেছেন বলে জানান বিশ্বরূপ।

তিনি হুঁশিয়ারি দেন, অভিযোগে কাজ না হলে অনশনের পথেও যেতে পারেন। যা শুনে সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, ‘‘এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে আমার পরামর্শ, যাঁরা হুমকি দিচ্ছেন, তাঁরা যেন বড় কোনও রেস্তোরাঁর খাবার খেয়ে অনশনে না বসেন।’’

প্রাক্তন সিএবি কর্তা সংস্থার অস্বচ্ছতার অভিযোগও তোলেন। যা একেবারেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়ে সিএবি যুগ্মসচিব অভিষেক ডালমিয়া বলেন, ‘‘স্বচ্ছতার সঙ্গেই কাজ চলছে সিএবি-তে। প্রত্যেকটি নিয়ম মেনেই আমরা কাজ করি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন