পেস বিভাগে আস্থা উমেশের

সম্প্রতি ঘরের মাঠে ভারতীয় পেসাররা যে রকম সাহসী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, সেই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই উমেশের এমন ধারণা হয়েছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৪:০২
Share:

আত্মবিশ্বাসী: বিদেশে সাফল্য নিয়ে আশাবাদী উমেশ। —ফাইল চিত্র।

অনেক আশা নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন উমেশ যাদব। শুধু নিজের ভাল ফর্মের আশা নয়, দলের পুরো পেস বিভাগ নিয়েই আশাবাদী তিনি। বিদর্ভের এই পেস বোলারের ধারণা, দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটে দু’ইনিংসে কুড়ি উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে ভারতীয় পেসারদের।

Advertisement

উমেশের ধারণা, ‘‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জোরে বোলারদের ওপর নজর থাকবে। আমাদের কাছে প্রচুর প্রত্যাশা থাকবে সবার। আর আমার মনে হয়, আমাদের এই পেস বিভাগের ২০ উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা আছে। ১৪ মাস ঘরের মাঠে আমরা খুবই ভাল খেলেছি। এ বার আমাদের এই সাফল্য বিদেশের মাঠেও দেখানোর পালা।’’

সম্প্রতি ঘরের মাঠে ভারতীয় পেসাররা যে রকম সাহসী পারফরম্যান্স দেখিয়েছে, সেই পারফরম্যান্সের ভিত্তিতেই উমেশের এমন ধারণা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ফিটনেস আর সঠিক পরিকল্পনাই এই উপমহাদেশে আমাদের সাফল্যের কারণ ছিল। তবে প্রধান কারণ, আমাদের দৃঢ় মানসিকতা। এটা যদি আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাতেও বজায় রাখতে পারি, তা হলে আমাদের কেউ রুখতে পারবে না।’’

Advertisement

সম্প্রতি প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় মঞ্জরেকর তাঁর লেখায় উমেশকে এমন লাইনে বল করার অনুরোধ করেছেন, যাতে ব্যাটসম্যানদের তাঁর বল বেশি ছাড়তে না হয়। ভারতের স্লিপ ক্যাচিংও যে খুব একটা ভাল হচ্ছে না, এই লেখায় তাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁকে। উমেশ অবশ্য অন্য কথা বলছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘কপিল দেবের মতো আমার স্বাভাবিক বোলিং হল আউটসুইঙ্গার। কিন্তু বল বেশি ভিতরে ঢোকাতে গিয়ে আমার আউট সুইঙ্গারের ক্ষতি হতে পারে। আমি তা চাই না। ভিতরের বলগুলোর ক্ষেত্রে কিছু বদল অবশ্যই আনব। কিন্তু আউটসুইঙ্গারই আমার শক্তি।’’

বিদেশের পেস সহায়ক উইকেট পেয়ে অতিরিক্ত উৎসাহে ভুল করে বসার রোগ এই ভারতীয় বোলারদের আগে দেখা দিলেও এ বার তা হবে বলে আশ্বাস দিচ্ছেন উমেশ। তাঁর মতে, ‘‘আগের সফরগুলোতে আমাদের বয়স কম ছিল, পেস সহায়ক উইকেট দেখে আমরা বেশিই উত্তেজিত হয়ে পড়তাম। এ বার আর তা হবে না। এখন ইশান্ত, শামি, ভুবি আর আমি সবাই জানি অতিরিক্ত উৎসাহ কী করে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। আমরা পরিবেশ অনুযায়ীই বোলিং করব।’’ দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট কেমন হতে পারে, তা আন্দাজ করে নিয়ে উমেশ বলছেন, ‘‘পিচ শক্ত ও তাতে বাউন্স থাকলে সমানে গুড লেংথ বল করে যেতে হবে। যখন এটা স্পঞ্জি বাউন্সি হবে, তখন আমাকে বল পিচ করিয়ে তুলতে হবে।’’

যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমারকে সাদা বলে নির্বাচকরা প্রাধান্য দিলেও উমেশকে যে শুধু টেস্ট ক্রিকেটের জন্যই রেখে দিয়েছেন তাঁরা, তা মানতে রাজি নন নাগপুরের এই বোলার। বলেন, ‘‘আমার আর শামির ওপর যাতে বেশি চাপ না পড়ে, সেই দিকটা নিশ্চয়ই দেখছেন নির্বাচকেরা। তবে আমাদের কেউই বলেননি যে সীমিত ওভারের প্রকল্পে আমরা নেই। আর টেস্ট ক্রিকেটে তো পেস বোলারদের ওপর বেশি চাপ পড়েই। আমার চোট-আঘাত নিয়ে নিজেকেও খেয়াল রাখতে হবে। চোট নিয়ে তো আর খেলা যায় না।’’ দলে নিজের জায়গা নিয়ে নিশ্চিত উমেশ বলেন, ‘‘আত্মবিশ্বাস থাকলে জায়গা নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন