রণক্ষেত্র: এই মাঠেই হয়েছে খেলার আয়োজন। নিজস্ব চিত্র
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ চন্দননগরে!
আজ, রবিবার সকাল সাড়ে ৯টায় অনূর্ধ্ব-১৫ বাংলাদেশ দল হুগলির এই শহরে বাংলার বিপক্ষে খেলতে নামছে। ম্যাচ ঘিরে রীতিমতো সাজো সাজো রব শহরের কুঠির মাঠে। বিনা টিকিটেই মিলবে আন্তর্জাতিক ম্যাচ দেখার সুযোগ।
পদ্মাপাড়ের দেশের খুদে ক্রিকেটারদের দলটি সম্প্রতি গঙ্গাপাড়ের রাজ্যে এসেছে। এখানে বেশ কয়েকটি ওয়ান-ডে এবং তিন দিনের ম্যাচ খেলার কথা। রবিবার চন্দননগরে তারা ওয়ান-ডে খেলবে। আগামী মঙ্গলবার থেকে কুঠির মাঠেই তিন দিনের ম্যাচ। শুক্রবারই চন্দননগরে পৌঁছে যায় পড়শি দেশের খুদে ক্রিকেটাররা। শ্রীরামপুরে দিল্লি রোডের ধারের একটি হোটেলে তাদের রাখা হয়েছে।
ম্যাচ আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে রয়েছেন চন্দননগর স্পোর্টিং অ্যাসোসিয়েশনের (সিএসএ) কর্মকর্তা অভীক খাঁ। তিনি জানান, খেলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘এ পার বাংলা ও পার বাংলা মৈত্রী কাপ’। বাংলা দলের অধিনায়ক চন্দননগরেরই অভিষেক পোড়েল। সে দলের উইকেটরক্ষক এবং বাঁ হাতি ব্যাটসম্যান। সম্প্রতি যুব বিশ্বকাপ জয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম সদস্য ঈশান পোড়েলের খুড়তুতো ভাই সে। অভিষেক ছাড়াও এই শহরের দেবপ্রতিম হালদারও বাংলার প্লেয়ার। সে ডানহাতি পেস বোলার এবং ওপেনিং ব্যাটসম্যান।
আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য কতটা তৈরি কুঠির মাঠ?
সিএসএ-র ক্রিকেট সচিব রাজীব ঘোষ, কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ ঘোষদের দাবি, পিচ চমৎকার। কয়েক দিন ধরে নিয়ম করে মাঠের পরিচর্যা করা হয়েছে। মাঠে ড্রেসিংরুম বা শৌচাগার ছিল না। স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন উদ্যোগী হয়ে চন্দননগর পুরসভাকে দিয়ে ড্রেসিংরুম এবং শৌচাগার বানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান বিশ্বজিৎ। তাঁর আশ্বাস, ‘‘ছোটদের ভাল পরিবেশই উপহার দেব আমরা।’’
কুঠির মাঠের ২২ গজ পরখ করে খুশি সিএবি কর্তারাও। মাঠে থাকছে ডিসপ্লে বোর্ড। শহরের বিভিন্ন জায়গায় তোরণ বসানো হয়েছে। অভীকবাবুরা মনে করছেন, এই ধরনের খেলা হলে শহরে ক্রিকেটে আরও জোয়ার আসবে। শহরের স্কুল এবং ক্রিকেট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। মধ্যাহ্নভোজেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।