সোনার বলের ট্রফি নিয়ে কার্লি লয়েড।
চার বছর আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে তিনি পেনাল্টি মিস করেছিলেন। যার নিট ফল, সে বার জাপানের কাছে হেরে যেতে হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রকে। ২০১১ মেয়েদের বিশ্বকাপের ভিলেন কার্লি লয়েডই সোমবার তৃতীয় বার বিশ্বকাপ এনে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রকে। হ্যাটট্রিক করে চার বছর আগের আক্ষেপ সুদে-আসলে মেটালেন ৩২ বছর বয়সি ফুটবলার। লয়েডই হলেন প্রথম মহিলা ফুটবলার, যিনি বিশ্বকাপ ফাইনালে হ্যাটট্রিক করলেন।
‘লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট’ বলতে যা বোঝায় এ দিন সেটাই করে দেখালেন যুক্তরাষ্ট্রের অধিনায়ক। নিজে গোল করলেন, গোল করালেন। গোটা মাঠ জুড়ে দাপিয়ে বেড়ালেন। টিমকে তাতালেন প্রতি মুহূর্তে। তাঁর দুরন্ত পারফরম্যান্সের জেরেই গত বারের চ্যাম্পিয়ন টিম জাপানকে ৫-২ হারাল যুক্তরাষ্ট্র। ২০১২ অলিম্পিকেও জাপানকে হারিয়ে সোনা এনে দিয়েছিলেন এই কার্লি লয়েডই। ২-১ ম্যাচের দু’টি গোলই ছিল তাঁর। আর এ বার বিশ্বকাপ ফাইনালে জাপানিদের হারিয়ে যেন প্রতিশোধের ষোলোকলা পূর্ণ করলেন লয়েড। এ কথা স্বীকার করে ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেও দেন, ‘‘আমার কাছে এই ফাইনালটা একটা মিশন ছিল।’’
ম্যাচের ষোলো মিনিটের মধ্যে একাই তিন গোল করে ফেলেন লয়েড। মাঝে লরেন হলিডে একটি গোল করেছিল। স্বভাবতই ৪-০ পিছিয়ে পড়ে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় জাপান। এর পর জাপানের ওজিমি এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার জুলি জনস্টনের আত্মঘাতী গোলে খেলার ফল ২-৪ হলেও, টবিন হেথের গোলে আবার ব্যবধান বাড়ায় যুক্তরাষ্ট্র।