২০০ মিটার ফাইনালে হাসতে হাসতে বোল্ট

কোনও ২০০ মিটার সেমিফাইনালের আগে কোনও অ্যাথলিটের মানসিক অবস্থা কী রকম থাকতে পারে? গোমড়া মুখ। একটু নার্ভাস। যেন কেউ কামানের সামনে দাড় করিয়ে রেখেছে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৬ ০৩:৫০
Share:

সেই মুহূর্ত। বৃহস্পতিবার। ছবি: রয়টার্স।

কোনও ২০০ মিটার সেমিফাইনালের আগে কোনও অ্যাথলিটের মানসিক অবস্থা কী রকম থাকতে পারে? গোমড়া মুখ। একটু নার্ভাস। যেন কেউ কামানের সামনে দাড় করিয়ে রেখেছে।

Advertisement

কিন্তু প্রসঙ্গ যখন উসেইন বোল্ট তখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ উল্টো। ভয় শব্দটাই যেন তাঁর ডিকশিনারিতে নেই। মুখ গোমড়াও তিনি করতে পারেন না। ট্র্যাকের সম্রাট হলেও গ্যালারিকে মনোরঞ্জনও দিতে পারেন। ফিনিশ লাইনে পৌঁছনোর আগে হাসেন। পিছনে তাকিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীকে চ্যালেঞ্জ জানান। ফিনিশ লাইন টপকে আবার সেল্ফিও তোলেন।

বৃহস্পতিবার ভোরেও সেই বোল্টকেই দেখল রিও। আক্ষরিক অর্থেই হাসতে হাসতে ২০০ মিটার সেমিফাইনাল জিতলেন জামইরান মহাতারকা। বোল্টের কাছে সেমিফাইনাল কোনও ট্রেনিং দৌড়ের মতোই ছিল। আসলেন, দেখলেন, হাসতে হাসতে জিতেও গেলেন। তাঁর পিছনে থাকা কানাডার দে’গ্রাসের দিকে তাকিয়ে বলেও দিলেন, ‘‘ফাইনালে দেখা হবে।’’

Advertisement

ফাইনালে উঠে বোল্ট বলছেন নিজের বিশেষ ইভেন্টে শুধু জিতলেই তিনি খুশি হবেন না। বরং বিশ্বরেকর্ড করে জিততে চান। বোল্ট বলছেন, ‘‘লেনের উপর নির্ভর করছে বিশ্বরেকর্ড করতে পারব কিনা। কিন্তু আমার লক্ষ্য থাকবে সেটা করার। দৌড়ে যদি সবকিছু ঠিকঠাক হয় তা হলেই বিশ্বরেকর্ড করতে পারব।’’

সারা বিশ্ব আশায় ছিল, ১০০ মিটারের মতো ২০০ মিটারের ফাইনালেও দেখা যাবে বোল্ট বনাম গ্যাটলিন। কিন্তু বোল্ট যে দিন আরাম করে ফাইনালে উঠলেন, গ্যাটলিন নিজের সেমিফাইনালে তৃতীয় হয়ে কোয়ালিফাই করতে পারলেন না। নিজের দৌড় জিতে প্রতিদ্বন্দ্বীকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না জামাইকান মহাতারকা। জাস্টিন গ্যাটলিনকে ‘স্লো’ বলে দিলেন বোল্ট। বিশেষজ্ঞরা যখন অবাক গ্যাটলিনের বিদায় দেখে, বোল্টের কাছে এটা এমন কিছু অঘটন নয়। জামাইকান স্প্রিন্ট তারকা বলছেন, ‘‘আমি মোটেও অবাক নই গ্যাটলিনের বিদায় দেখে। ১০০ মিটার ফাইনালে বুঝেছিলাম ওর গতি কমছে।’’

তবে গ্যাটলিন না থাকলেও, কানাডার দে গ্রাসে আছেন। যিনি বোল্টের থেকে সামান্য কম সময়ে দ্বিতীয়তে সেমিফাইনালে শেষ করলেন। আবার জাতীয় রেকর্ডও আছে তাঁর। আর বোল্টও সমীহ করছেন তাঁর প্রতিপক্ষকে। ‘‘আমি দে গ্রাসেকে বললাম আরে এত তাড়াতাড়ি কেন দৌড়োচ্ছ। এটা তো সেমিফাইনাল।’’ সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘‘দে গ্রাসে জাতীয় চ্যাম্পিয়নও। ও কিন্তু ভাল ফর্মে আছে।’’

ট্রিপল ট্রিপল করার থেকে আর দুটো সোনা দূরে বোল্ট। হ্যামস্ট্রিং চোট সারিয়ে রিওতে আসলেও ১০০ মিটারে সোনা জিতেছেন। তাতেও অবশ্য আত্মতুষ্ট হয়ে পড়ছেন না বোল্ট। তিনি বলছেন, ‘‘আমি আত্মতুষ্ট নই। আমি খুশি সেমিফাইনাল জিতে কিন্তু ২০০ মিটার ফাইনাল নিয়ে যথেষ্ট নার্ভাস আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন