প্রত্যয়ী: সেঞ্চুরিয়নে দ্বিতীয় ম্যাচ আজ কোহালিদের। ফাইল চিত্র
নিউজিল্যান্ডে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার বিজয়োৎসব। আর দক্ষিণ আফ্রিকায় অপেক্ষা প্রাক্তন এক অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বজয়ী অধিনায়কের হাত ধরে ওয়ান ডে সিরিজে বিজয়রথ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। শনিবার ছিল পৃথ্বী শ, মনজোত কালরা-দের দিন। রবিবার কি ফের দেখা যাবে কোহালিদের কামাল?
দক্ষিণ আফ্রিকার কঠিন সফরে প্রথম দুই টেস্টে হারার পরে সিরিজ খুইয়েছিলেন কোহালি-রা। তার পরে ওয়ান্ডারার্সের বিপজ্জনক পিচে টেস্ট জিতে ঘুরে দাঁড়ান। ডারবানে প্রথম ওয়ান ডে জিতেছে ভারত। কোহালি সেঞ্চুরি করেছেন, চার নম্বরে নেমে অজিঙ্ক রাহানে রান করেছেন। বিশেষজ্ঞরাও এখন ওয়ান ডে সিরিজে ভারতকে ফেভারিট ভাবতে শুরু করেছেন।
আর রাহানেদের দলনেতাকে সারা দিন ধরে শনিবার টিভি-তে দেখা গেল রাহুল দ্রাবিড়ের তরুণ দল ফাইনাল খেলার সময়। দেখানো হতে থাকল তরুণ কোহালির আগ্রাসী ব্যাটিং, সেই তখন থেকেই তাঁর আক্রমণাত্মক নেতৃত্বের ধরন। পৃথ্বী-রা জেতার পরেই জাতীয় পতাকা সহকারে টুইট করে অভিনন্দন জানালেন বিরাট। সেই সঙ্গে সাবধানও করে দিতে ভুললেন না— ‘এটাকে ভিত্তি প্রস্তর হিসেবে দেখো। অনেক পথ পেরনো এখনও বাকি’। তিনি নিজে এই দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। তাই জানেন, কতটা দুর্গম হতে পারে অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে উত্তরনের রাস্তা।
এ দিন জোরাল ধাক্কা খেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা দল। তাদের অধিনায়ক এবং ডারবানে সেঞ্চুরি করা ফ্যাফ ডুপ্লেসি ছিটকে গিয়েছেন পুরো সিরিজ থেকে। ওয়ান্ডারার্সের বিপজ্জনক পিচে পেসারদের বলে দু’দলের অনেকেই আঙুলে আঘাত পেয়েছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণই বেশি। এ বি ডিভিলিয়ার্স আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন প্রথম তিনটি ওয়ান ডে থেকে। এ বার সরে দাঁড়াতে হল ডুপ্লেসি-কেও। ভারতের সঙ্গে বাকি ওয়ান ডে বা টি-টোয়েন্টি সিরিজে আর নামতে পারবেন না তিনি।
এর পরেই দেশের মাঠে তাঁদের অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে হবে। সেই টেস্ট সিরিজের জন্য সতর্কতাও নিতে হচ্ছে ডুপ্লেসি-কে। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংয়ের দুই প্রধান স্তম্ভ হচ্ছেন ডিভিলিয়ার্স এবং ডুপ্লেসি। দুই ‘ডি’-এর অনুপস্থিতিতে ঘরের মাঠেও বেশ চাপে পড়ে যাবে তারা। ডুপ্লেসি-র জায়গায় অধিনায়ক বেছে নেওয়া হয়েছে এডেন মার্করাম-কে। যিনি মাত্র দু’টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচকেরা জানিয়েছেন, তাঁরা ২০১৯ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে তরুণ রক্তকে সামনে আনতে চাইছেন। সেই কারণেই এমন সিদ্ধান্ত।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট মহলেই সকলে যে এই নির্বাচনকে খুব ভাল চোখে নিয়েছেন, তা নয়। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, দলে হাসিম আমলা ছিলেন। কুইন্টন ডি’কক ছিলেন। জে পি ডুমিনি ছিলেন। ডেভিড মিলার ছিলেন। তাঁদের উপেক্ষা করে মার্করাম-কে কেন অধিনায়ক বেছে নেওয়া হল?
সেঞ্চুরিয়নে ব্যাটিং পিচ এবং রানের খেলা হবে বলে পূর্বাভাস। মানে কোহালির মঙ্গল। রাহানের মঙ্গল। সঙ্গে দুই তরুণ তুর্কী স্পিনারের মঙ্গল। বিশ্বজয়ের পরের দিন সুপার সেঞ্চুরিয়নের আশায় থাকাই যায়।