কখনওই তৃপ্ত হবে না, বিরাটকে সচিন

এজবাস্টন টেস্টে গোটা ভারতীয় দলের ব্যাটিং সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। ব্যাতিক্রম বিরাট। দুই ইনিংয়ে তিনি ১৪৯ ও ৫১ রান করেছিলেন। বিরাটের এই পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সচিন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৮ ০৪:৫৪
Share:

—ফাইল চিত্র।

লর্ডস টেস্টে নামার আগে বিরাট কোহালিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন সচিন তেন্ডুলকর। সাত বছর পরে আইসিসির টেস্ট ব্যাটসম্যানের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন বিরাট। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শেষ বার যে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন ২০১১ সালে সচিনই। এজবাস্টন টেস্টে গোটা ভারতীয় দলের ব্যাটিং সে ভাবে দাগ কাটতে পারেনি। ব্যাতিক্রম বিরাট। দুই ইনিংয়ে তিনি ১৪৯ ও ৫১ রান করেছিলেন। বিরাটের এই পারফরম্যান্সে মুগ্ধ সচিন।

Advertisement

একটি ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে কিংবদন্তি ভারতীয় ব্যাটসম্যান বলেন, ‘‘আমি বিরাটকে বলতে চাই, দারুণ খেলছ। আশপাশে কী হচ্ছে তা নিয়ে ভেব না, তুমি কী অর্জন করতে চাও তাতেই ফোকাস করো আর হৃদয় দিয়ে সেই পথে খেলে যাও।’’ পাশাপাশি সচিন সতর্কও করে দিয়েছেন বিরাটকে। তিনি বলেছেন, ‘‘কখনও তৃপ্ত হবে না। তৃপ্তি এলেই পতন শুরু হয়। খুশি হওয়া ভাল ব্যাপার। কিন্তু ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের খেলায় সন্তুষ্ট হওয়া চলবে না। বোলারদের দশ উইকেটের বেশি পাওয়ার উপায় নেই। সেখানে ব্যাটসম্যানের কিন্তু এগিয়ে যাওয়ার সীমা নেই। তাই খুশি থাক, কিন্তু তৃপ্ত নয়।’’

সচিন আরও বলেছেন, বয়স নয়, পারফরম্যান্স দেখেই দলে কোনও ক্রিকেটারকে বাছা উচিত। তিনি মনে করেন, কার বয়স বেশি বা কম, তাতে কিছু আসে যায় না। তার পারফরম্যান্স ভাল কি না, সেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ড প্রথম টেস্টে ২০ বছর বয়সি অলরাউন্ডার স্যাম কারেনকে খেলানোর পরে এ বার দ্বিতীয় টেস্টের দলে রেখেছে আর এক তরুণ কুড়ি বছরের অলিভার পোপকেও। ইংল্যান্ডের নির্বাচকদের টেস্ট দলে তরুণদের নেওয়ার এই প্রবণতা নিয়ে আলোচনাও শুরু হয়েছে ক্রিকেট মহলে। এই প্রসঙ্গেই সচিন এক ক্রিকেট ওয়েবসাইটকে বলেন, ‘‘কেউ যদি ভাল খেলে, তা হলে তার দেশের হয়ে খেলার সুযোগ অবশ্যই পাওয়া উচিত। বয়সটা সেখানে কোনও ব্যাপার নয়।’’

Advertisement

সচিন টেস্ট জীবন শুরু করেন ১৬ বছর বয়সে পাকিস্তানে সিরিজ দিয়ে। নিজের উদাহরণ দিয়েই তিনি বলেন, ‘‘আমি যখন প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলি, তখন আমার বয়স মাত্র ১৬। তাতে বরং ভাল হয়েছিল। ওয়াসিম আক্রম, ওয়াকার ইউনিস, ইমরান খান ও আব্দুল কাদিরদের বিরুদ্ধে ব্যাটিং করা যে আসলে কী, তা তখন জানতামই না। তখন সম্ভবত এটাই ছিল সেরা বোলিং আক্রমণ।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement