মুম্বইয়ে আজ যে টেস্ট শুরু হচ্ছে সেটায় ভারতের সামনে সুযোগ সিরিজ জিতে নেওয়ার। ওরা শেষ দু’টো ম্যাচে ইংল্যান্ডকে চুরমার করে দিয়েছে। এবং সফরকারীদের পক্ষে চতুর্থ টেস্টেও সহজ হবে না উঠে দাঁড়ানোর কোনও উপায় বার করা।
যদিও ওয়াংখেড়েতে ইংল্যান্ডের কিছু ভাল স্মৃতি আছে। এই মাঠে ওদের রেকর্ড দুর্দান্ত। শেষ দু’টো সফরে ওরা এখানে ভারতকে দু’বারই হারিয়েছে। সেটা এই টেস্টে ইংল্যান্ডের জন্য অর্থবহ হবে কি না সেটা একমাত্র সময়ই বলতে পারবে। তবে ওরা সম্ভবত অতীতের ওই সুখস্মৃতি থেকে আত্মবিশ্বাস নিয়ে এ বার ওয়াংখেড়েতে নামবে। তবে অ্যালিস্টার কুক এটাও বুঝছে যে, ওর কাজটা আদৌ সহজ নয়।
এই টেস্টেও পিচ-ই আপাতত সবচেয়ে আলোচনার বিষয়। যেখানে প্রশ্ন হল— কবে থেকে ওয়াংখেড়েতে বল ঘুরবে? যা খবর, উইকেটটা নাকি ভাল। স্লো টার্নার। মুম্বইয়ের পিচ সব সময় ফাস্ট বোলারদের সাহায্য করে এসেছে। উইকেটে বাউন্স থাকে বলে। ইংল্যান্ড পেসারদের বলে গতি থাকায় ওরা এখানকার কন্ডিশনে বল করে আনন্দ পাবে। গোড়ার দিকে সব সময় পেস বোলাররা সাহায্য পায়। কিন্তু সেটা কোন দল টস জিতে আগে ব্যাট করবে সে ব্যাপারে ফ্যাক্টর হবে না।
ইংল্যান্ড হামিদকে পাচ্ছে না। ভাঙা আঙুল নিয়েও ও দারুণ লড়াই করেছে। এই ম্যাচে ওর অভাব ইংল্যান্ড অনুভব করবে। হামিদের জায়গায় এসেছে কিটন জেনিংস। ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ঝুড়ি ঝুড়ি রান করে ও ইতিমধ্যে নাম করে ফেলেছে। জেনিংস দলে ঢোকায় ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইন আপে আরও একজন বাঁ-হাতি বাড়ল। যেটা নিয়ে ভারতীয় স্পিনাররা সম্ভবত ভাবিত নয়। তবে ওয়াংখেড়ে হয়তো উপমহাদেশের বাইরের কোনও বিদেশি ব্যাটসম্যানের টেস্ট অভিষেকের জন্য খারাপ জায়গা নয়। মুম্বইয়ের বাউন্স ভাল আর সমান থাকায় ব্যাট করা এখানে তুলনায় অনেক সহজ।
ভারত এই টেস্টে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থেকে নামবে। যদিও রাহানের আঙুলের হাড়ে চিড় ধরায় ওকে টিম মুম্বইয়ের মাঠে পাচ্ছে না। যে শূন্যতা ভরাট করা কঠিন। মণীশ পাণ্ডের সামনে সুযোগ থাকছে। কিন্তু আমার মতে রাহানের অভাব কোহালিকে এই টেস্টে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। পূজারাকেও। তবে আমি নিশ্চিত, এই চ্যালেঞ্জটাকে ক্যাপ্টেন উপভোগ করবে।
শামির ফিটনেস নিয়েও একটা প্রশ্ন রয়েছে। ভারতীয় শিবির আশা করবে ও ফিট হয়ে উঠুক। শামিও ওয়াংখেড়ের বাউন্সকে উপভোগ করবে বল করার সময়। কিন্তু তার আগে টিম ম্যানেজমেন্টের শামির একশো ভাগ ফিটনেসের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া দরকার। তার পরে না হয় শামি মাঠে নামুক। টেস্ট ম্যাচ কিন্তু ফাস্ট বোলারদের থেকে প্রচুর ঘাম নিংড়ে নেয়!