বিরাট ও কোচ রাজকুমার।
বহির্বিশ্বের কাছে তাঁদের সম্পর্কটা গুরু-শিষ্যের, কিন্তু আদতে যে তা নয়, সেটা রাজকুমার শর্মা এবং বিরাট কোহালি দু’জনেই জানেন।
রাজকুমার শর্মা এবং বিরাট কোহালি দু’জনেই জানেন যে রক্তের সম্পর্ক না হলেও দু’জনের সম্পর্কটা পিতা-পুত্রের।
রাজকুমারের দ্রোণাচার্য পুরস্কার প্রাপ্তির প্রাক্-মুহূর্তে দু’জনের সেই সম্পর্কটা বেরিয়ে পড়ল। ‘সন্তান’ বিরাটকে নিয়ে বলতে বলতে আবেগাচ্ছন্ন হয়ে পড়লেন রাজকুমার। বলে ফেললেন, ‘‘দ্রোণাচার্য হওয়াটা বিশাল সম্মানের। এটা আমার দায়িত্ব বাড়িয়ে দিল। একটা নয়, এখন আমাকে আরও অনেক বিরাট বার করতে হবে। আমার এখনও মনে আছে সেই দিনটা যখন দশ বছরের বিরাট আমার কোচিং ক্যাম্পে এসেছিল। আজ যখন ও ভারত অধিনায়ক হিসেবে আমার ক্যাম্পে নেট সেশন করতে আসে, তখন আমি কোনও বদল খুঁজে পাই না। সেই দশ বছরের ছেলেটার মতোই লাগে।’’
কোচ ‘দ্রোণাচার্য’ পাচ্ছেন শুনে বিরাট টুইট তো করেছেনই, ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন রাজকুমারকে। টুইটে বিরাট লিখেছেন, ‘রাজকুমার স্যর, অভিনন্দন আপনাকে। সাফল্যের পিছনে যে খাটাখাটনিটা থাকে, তা সব সময় আড়ালেই থেকে যায়। অসম্ভব ভাল লাগছে শুনে যে, আপনি দ্রোণাচার্য পাচ্ছেন।’ যা দেখে রাজকুমারের মনে পড়ে যাচ্ছে বছর তিনেক আগে একটা দিনের কথা। যে দিন বিরাট অর্জুন পুরস্কার পেয়েছিলেন। ‘‘বিরাট যে অর্জুন পায়, সে দিন আমি রাষ্ট্রপতি ভবনে উপস্থিত ছিলাম। বিরাট সে দিন আমাকে বলেছিল যে, যে দিন আমি দ্রোণাচার্য পাব ও দশর্কাসন থেকে হাততালি দেবে। ভেবেছিলাম, বিরাটের খেলা না থাকলে ও আসতে পারবে।’’
ঘটনা হল, যে দিন রাজকুমার দ্রোণাচার্য পুরস্কার পাবেন, সেই ২৯ অগস্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দু’টো টি-টোয়েন্টি খেলে দেশের ফ্লাইট ধরবেন বিরাট। যিনি টিমের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি খেলতে ইতিমধ্যে রওনা হয়ে গিয়েছেন। তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ জয় নিয়ে বলতে গিয়ে ঋদ্ধিমান সাহা এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের প্রবল প্রশংসা করেছেন বিরাট। বলেছেন, ‘‘আমার মতে, এই সিরিজের সবচেয়ে ব়ড় প্রাপ্তি ঋদ্ধিমানের লোয়ার অর্ডারে রান পাওয়া। একই সঙ্গে ছ’নম্বরে অশ্বিনের ব্যাটিংয়ের কথাও আমি বলব।’’ সঙ্গে বিরাট আরও যোগ করেছেন, ‘‘সফরটা আমাদের মোটের উপর ভালই গেল। আসলে টেস্টে যখনই কোনও টিম ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে, তখন তার পিছনে লোয়ার অর্ডারের অবদান থাকে। আশা করছি, এ জায়গায় আমরা ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করব।’’