দিল্লিতে প্রথম পা দিলেন দেল পিয়েরো। ছবি: পিটিআই
হালকা বাদামি রংয়ের স্যুট ও আকাশি নীল শার্ট। গলায় গাঁদা ফুলের মালা।
বৃহস্পতিবার দিল্লির ইন্দিরা গাঁধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো যখন প্রথম পা দিলেন, তখন অনেকেই তাঁকে ভুল করে হলিউডের সুপারস্টার অভিনেতা ভেবে ফেলেছিলেন। অত্যুৎসাহীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন কিছুক্ষণের মধ্যেই! বুঝতে পারেন ভারতে পা দিলেন আইএসএলের অন্যতম বড় আকর্ষণ২০০৬-এ ইতালির বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য দেল পিয়েরো। জনপ্রিয় এই ইতালিয়ান ফুটবলারের সঙ্গে ভারতে এসেছেন তাঁর ভাই এবং নিজস্ব চিত্রগ্রাহক প্রতিনিধি।
উনচল্লিশ বছরের দেল পিয়েরো এ বারের আইএসএল-এর টিম দিল্লি ডায়ানামোসের মার্কি ফুটবলার। ভারতে নেমেই ইতালির বিশ্বকাপার সতীর্থদের সঙ্গে আলাপ করার জন্য মাঠে চলে যান। দিল্লি ডায়ানামোসের পক্ষ থেকেও সরকারি ভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, “সোজা বিমানবন্দর থেকেই দেল পিয়েরো মাঠে যোগ দিয়েছেন।” মাঠে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলে যান, “যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেনিং শুরু করে দিতে চাই। মুখিয়ে আছি কোচ, সাপোর্ট স্টাফ এবং সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। ভারতে আসার রোমাঞ্চই আলাদা।” টিম সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে দলের সঙ্গে অনুশীলনে নামবেন দেল পিয়েরো। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থ ক্যাম্পাসের মাঠে তাই এ দিন থেকেই ভিড় জমানোর পরিকল্পনা করেছেন সুদর্শন এই ফুটবলারের অনুরাগীরা।
জুভেন্তাসের জার্সিতে সেরি-আ তে মোট আটটা ট্রফি জিতেছেন দেল পিয়েরো। এমনকী ২০০৬ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে জার্মানির বিরুদ্ধে দ্বিতীয় গোল তাঁরই। এ দিন নিজের টুইটারে তিনি লিখেছেন, “সবে দিল্লি বিমানবন্দরে নেমেছি। আমি কিন্তু পুরোপুরি তৈরি ভারতে নতুন ইনিংস খেলার জন্য।”
দিল্লির দলটির সঙ্গে চুক্তি হওয়ার আগে হাঙ্গেরির ক্লাব হনভেড এফসি-র সঙ্গে কথাবার্তা হয়েছিল এই ইতালিয়ান ফুটবলারের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আইএসএল-এ খেলার ব্যাপারেই মনস্থির করেন।
দেশের হয়ে ৯১ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা দেল পিয়েরো তিনটি বিশ্বকাপ (’৯৮, ২০০২, ২০০৬) -এ খেলেছেন। এ ছাড়াও, ১৯৯৬ থেকে ২০০৮পর পর চারটি ইউরো কাপেও আজুরিদের (ইতালির জাতীয় দলকে এই নামেই ডেকে থাকে তাদের সমর্থকরা) হয়ে মাঠে নেমেছেন তিনি। ফুটবলার জীবনের সিংহভাগটাই জুভেন্তাসের জার্সি গায়ে খেললেও দু’বছর আগে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে চলে যান দেল পিয়েরো। এ-লিগে সিডনি এফসি-র হয়ে খেলেছেন তিনি।