স্ত্রীর জন্য পদক উপহার আনছেন আনন্দ

চলতি বছরটা যে এ ভাবে শেষ হবে আনন্দ নিজেও বুঝতে পারেননি। জর্জিয়ায় টেস্ট বিশ্বকাপে গোড়ার দিকেই তিনি ছিটকে যান। লন্ডন চেস ক্ল্যাসিকে সর্বশেষ স্থান পেয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০১৮ ০৪:১৪
Share:

চ্যাম্পিয়ন: সোনা আর ব্রোঞ্জ পদক জেতার পরে আনন্দ। ছবি: টুইটার

র‌্যাপিড বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে তাঁর স্ত্রী অরুণা আনন্দ বলেছিলেন, ‘‘মনে হচ্ছে এক্ষুণি রিয়াধে উড়ে যাই।’’

Advertisement

সেই সোনার পদকের পরে এ বার তিনি ব্লিৎজ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে জিতেছেন ব্রোঞ্জ। এ বার স্ত্রী কী বলেছিলেন তাকে? মজা করে জানিয়ে দিলেন তিনি— বিশ্বনাথন আনন্দ।

‘সবাইকে ধন্যবাদ। হাল্কা করে এটাও বলে রাখি তার সঙ্গে, আমি নিজের খেলায় সন্তুষ্ট। ২০১৮ খুব ভাল কাটুক সবার। এ বার পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাব। এই ছবিটা আমার স্ত্রীর জন্য। আমায় ও বলে দিয়েছে, যেন খুব সাবধানে পদক দুটো নিয়ে আসি। ছবিটা তার প্রমাণ,’ টুইট আনন্দের।

Advertisement

এ ভাবে দাবা বিশ্বে প্রত্যাবর্তনের ঝড় তুলে স্বল্পভাষী, লাজুক পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু ঠিক কতটা তৃপ্ত সেটা তাঁর উৎসবের মেজাজেই বোঝা যাচ্ছে। আনন্দ সবচেয়ে বেশি সন্তুষ্ট হয়েছেন ব্লিৎজ টুর্নামেন্টে মাত্র একটি গেম হেরে শেষ করতে পারায়। সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেছেন, ‘‘র‌্যাপিড আর ব্লিৎজে পোডিয়ামে শেষ করে দুর্দান্ত লাগছে। কারণ দুটোই ভীষণ আলাদা রকমের ফর্ম্যাট। তাই মাত্র একটা গেম হারাটা বিরাট কৃতিত্বের ব্যাপার।’’

ঠিক কতটা আলাদা ফর্ম্যাট আর ছন্দের সঙ্গে তাঁকে মানিয়ে নিতে হয়েছে এই দুটো চ্যালেঞ্জ সামলাতে গিয়ে তা জানাতে গিয়ে আনন্দ বলেন, ‘‘একটা পনেরো মিনিট প্লাস ১০ সেকেন্ডের গেমকে বেশ ধীর গতির ধরতে হবে এই ফর্ম্যাটে। মানে এটা অন্য ফর্ম্যাটের প্রায় একটা আধঘণ্টা চলা গেমের মতো আর কী। দ্বিতীয় গেমটা তিন মিনিট দু’সেকেন্ডের। যেটা ধরা যায় অন্য ফর্ম্যাটে পাঁচ-সাত মিনিটের গেমের সমান। তাই বলছি আলাদা ছন্দে খেলতে হয়। একটা ফর্ম্যাটে ভাল খেললেই তার মানে কিন্তু আর একটাতেও ভাল খেলতে পারব, এমন নয়।’’

চলতি বছরটা যে এ ভাবে শেষ হবে আনন্দ নিজেও বুঝতে পারেননি। জর্জিয়ায় টেস্ট বিশ্বকাপে গোড়ার দিকেই তিনি ছিটকে যান। লন্ডন চেস ক্ল্যাসিকে সর্বশেষ স্থান পেয়েছিলেন। তাই বছরের শেষ দিকে তো বটেই দুটো চ্যাম্পিয়নশিপেই শেষ দিন তাঁকে ফর্মের চূড়োয় উঠতে দেখে তিনি নিজেও কম অবাক হননি। আনন্দ সেটা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘‘র‌্যাপিডে ১৪ নম্বর রাউন্ডে আলেকজান্ডার গ্রিসচুককে হারানোর পরে আমি টুর্নামেন্ট জেতার মতো জায়গায় এসেছিলাম। ব্লিৎজে খেলার সময়ও দ্বিতীয় দিনের শেষের দিকে আমি ভাল খেলতে শুরু করি।’’ আনন্দ তো এমনও ঠিক করে রেখেছিলেন দুটো ফর্ম্যাটেই সাম্প্রতিক টুর্নামেন্টগুলোয় খারাপ ফর্ম থাকার জন্য বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যে কোনও একটা বিভাগে বেশি জোর দেবেন। দুটোতেই এ ভাবে সোনা আর ব্রোঞ্জ জেতাটা তাই তাঁর কাছে আলাদা পাওনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন