বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল নিয়ে টিমের সবাই উত্তেজিত। গত কয়েক সপ্তাহ ভাল খেলার আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামব। প্রচণ্ড চাপের নকআউট ম্যাচে আমাদের ভাবমূর্তি খুব ভাল। আমার কাছে এর রহস্যটা হল সব কিছু সহজ রাখা। মাঠে নেমে মজা করা। আমরা তো একটা খেলা খেলি, যেটা আমাদের উপভোগ করার কথা। শ্রীলঙ্কা ভাল খেলছে মানে আমরা সবাই নিজেদের উপভোগ করছি। স্বাধীন ভাবে খেলছি। চাপ নিয়ে নামলে যে স্পিরিট ধরে রাখা যায় না। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল স্বাধীন আর সহজাত ক্রিকেট খেলার জন্য তৈরি হওয়া।
দক্ষিণ আফ্রিকা শক্তিশালী টিম। ওদের অনেক ম্যাচ উইনার। প্রথমেই ডে’ভিলিয়ার্স আর আমলার কথা মনে পড়ে। ওদের তাড়াতাড়ি ফেরাতে হবে। কিন্তু বিপক্ষের উপর বেশি ফোকাস না করাও জরুরি। তাই নিজেদের প্রস্তুতির উপরও ফোকাস রাখছি। নিজেদের গেমপ্ল্যান যাতে কাজে লাগাতে পারি, দেখছি। এমনিতে বিশ্বকাপটা বেশ মজার কাটছে। নকআউট ব্যাপারটা আরও আগ্রহের। দু’তিনটে টিম ফেভারিট হলেও নির্দিষ্ট দিনের পারফরম্যান্স সব হিসেব উল্টে দিতে পারে। যে টিম চাপ বেশি ভাল সামলাতে পারবে, ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বেশি ভাল পারফর্ম করতে পারবে, তারাই এগোবে। এর জন্যই এ সব টুর্নামেন্টে খেলাটা এত উত্তেজক। আমার জন্য অবশ্য এই বিশ্বকাপটা বাড়তি আবেগের, কারণ এখান থেকে যে কোনও ম্যাচ শ্রীলঙ্কা জার্সিতে আমার শেষ ম্যাচ হয়ে দাঁড়াতে পারে। আশা করছি টিম ফাইনাল খেলবে। অবশ্য এখন অত দূরের কথা না ভেবে দেশের জার্সি পরে প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করতে চাই।