বৃষ্টিতে প্র্যাকটিস ভেস্তে যাওয়ার পর গোলাপি বলের সিম নিয়ে দুই ক্যাপ্টেন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও শুভময় দাসের সঙ্গে আলোচনায় ব্যস্ত মহম্মদ শামি। শুক্রবার ইডেনে। -উৎপল সরকার
ওঁরা মাঠে নামতেই বৃষ্টি এল ঝেঁপে। ইডেনে। শুক্রবার বিকেলে। ঋদ্ধিমান সাহা, মহম্মদ শামিদের গোলাপি বলে প্র্যাকটিস করাই হল না। এর পর সেই যে সাদা কভারে ঢাকা হল ইডেন, আর তা ওঠানোই গেল না। নিভিয়ে দেওয়া হল ফ্লাডলাইটও।
গোলাপি বলে প্র্যাকটিস করতে না পারা নিয়ে যত না উদ্বেগ দুই ফাইনালিস্টের শিবিরে, তার চেয়েও বেশি উদ্বেগ এখন আবহাওয়া নিয়ে। শহরে ঢুকে পড়েছে বর্ষা। শনিবার সারা দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ঐতিহাসিক সুপার লিগ ফাইনালের প্রথম বল পড়ার আগে ফোকাসটা তাই সরে গেল আকাশের দিকে।
মোহনবাগান ও ভবানীপুরকে গোলাপি বলে প্র্যাকটিসের সুযোগ সিএবি দিয়েছিল মাত্র এক দিনের জন্যই। তা-ও এ দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল। এখন ‘স্টেজে মেক-আপ’ দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। যা নিয়ে বেশ চিন্তায় ক্রিকেটার ও কোচেরাও।
মহম্মদ শামি বলছেন, ‘‘প্রকৃতির উপর তো আমাদের হাত নেই। অন্তত এক দিন নেটে গোলাপি বলটা নিয়ে বোলিং করতে পারলে ভাল হত।’’ অন্য দিকে ঋদ্ধিমানের আফসোস, ‘‘বিকেল থেকে সন্ধে হওয়ার মুখে বলটা দেখতে অসুবিধা হয় কি না, তা দেখে নেওয়ার এটাই সুযোগ ছিল। সেটাই হল না।’’
তাঁদের আশঙ্কা কিছুটা কমানোর চেষ্টা করলেন ব্রেট এলিয়ট। ইনি কোকাবুরার গ্রুপ এমডি। অস্ট্রেলিয়া থেকে ছুটে এসেছেন ভারতের মাটিতে প্রথম গোলাপি বলে ম্যাচের আবহ দেখতে। মহাখুশি ব্রেট ইডেনের ড্রেসিংরুমের সামনে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘‘অসাধারণ পরিবেশ এখানে। তবে আকাশের যা অবস্থা, জানি না কী হবে।’’
গোলাপি বলের সঙ্গে প্লেয়ারদের মানিয়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে ব্রেট বললেন, ‘‘আপনারা এত দুশ্চিন্তা করছেন কেন? লাল, সাদা আর গোলাপি বলের মধ্যে রঙ ছাড়া তেমন বড় কোনও পার্থক্য নেই। অ্যাডিলেডে প্রথম টেস্টের পর ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা এই বলে কিছু কিছু বদল এনেছি। বলের সিম আগে ছিল সবুজ। স্টিভ স্মিথ জানায় ব্যাট করার সময় বলের সিম দেখতে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই ওর পরামর্শে সিম এখন কালো করে দেওয়া হয়েছে।’’
অ্যাডিলেড টেস্টে খেলা আর এক ব্যাটসম্যান জানিয়েছিলেন, লালের চেয়ে গোলাপি বল দেখতে বেশি বড় লাগছে। তার পর বলের চকচকে ভাবটা কমিয়ে দেওয়া হয়। এ বার ভারতেই গোলাপি বল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কোকাবুরা। মেরঠে। ভারতের মাঠে প্রথম গোলাপি বল পড়ার আগেই বোধহয় তাঁরা নিশ্চিত, এই দেশকে প্রচুর বল দিতে হবে।