সেঞ্চুরির পর শিখর ধবনের উচ্ছ্বাস। অল্পের জন্য ডবল সেঞ্চুরিটা হল না। ছবি: রয়টার্স।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ৫০ টেস্টের মঞ্চে রানে ফিরলেন শিখর ধবন।
৯ মাস পর টেস্টে ফিরে ব্যাট হাতে দেখালেন এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। প্রতি বলে কথা বলল শিখরের সেই ব্যাট যা একটা সময় ছিল ভারতীয় ওপেনিংয়ের ভরসা। কিন্তু অল্পের জন্য হল না ডবল সেঞ্চুরি। ১৬৮ বলে ১৯০ রান করে ফিরতে হল প্যাভেলিয়নে। এটা হতাশার কারণ হলেও শিখর ধবনের রানে ফেরাটা ভারতীয় দলের জন্য বড় প্রাপ্তি। তাঁর ব্যাট থেকে পর পর বল পেড়িয়ে গেল বাউন্ডারির সীমা। ৩১টি চৌকা হাঁকালেন তিনি। স্ট্রাইক রেট ১১৩.০৯।
আরও খবর: টেস্ট ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরি, ফিরে দেখা অশ্বিনের সেরা ইনিংস
তিনি আদৌ প্রথম টেস্টে দলে জায়গা পাবেন কী না তা নিয়েই ছিল সংশয়। কিন্তু লোকেশ রাহুল হাঠাৎই ভাইরাল ফিভারে আক্রান্ত হয়ে পরেন। যে কারণে তাঁকে প্রথম টেস্টে দলের বাইরে রাখতে বাধ্য হয় টিম ম্যানেজমেন্ট। তখন তাঁদের হাতে সেই এসে দাঁড়ান দুই, শিখর ধবন ও অভিনব মুকুন্দ। অভিনব মুকুন্দ শুরুতেই আউট হয়ে ফিরে যান প্যাভেলিয়নে। এর পর চেতেশ্বর পূজারার সঙ্গে মিলে ভারতীয় ব্যাটিংয়ের হাল ধরেন সেই শিখর ধবন। তাঁর অবশ্য দলে জায়গা হয়েছিল মুরলী বিজয় পুরোপুরি চোটমুক্ত হয়ে না ফিরতে পারায়। শুরুতে তাঁকে দলেও রাখেননি নির্বাচকরা। কিন্তু বাধ্য হয়েই পরে তাঁকে ডেকে নিতে হয়। আর সুযোগ পেয়েই নিজের জাত চেনালেন ধবন। যোগ্য সঙ্গত পূজারার। প্রদীপের বলে ম্যাথুকে ক্যাচ দিয়ে যখন তিনি ফিরলেন তখন ভারতের রান ২৮০। এমন একটা সময়ে নিজের উইকেট এ ভাবে ছুড়ে দিয়ে আসায় স্বভাবতই হতাশ দেখাল শিখর ধবন। আউট হয়ে যেন নিজের ভুলটাই আবার শ্যাডো করে নিজেকেই শিক্ষা দিচ্ছিলেন মাঠ থেকে বাইরে যেতে যেত।
আউট হয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরছেন শিখর ধবন।
শুধু যে ফিরলেন এমনটা নয়, সঙ্গে ঢুকে পড়লেন রেকর্ডেও। একটা সেশনে করলেন ১২৬ রান। লা়ঞ্চ আর টি ব্রেকের মাঝখানের সময়ে এই রান এল ধবনের ব্যাট থেকে। ভারতীয়দের মধ্যে এক সেশনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান শিকারী তিনিই। তাঁর আগে রয়েছেন ১৩ রান করে বীরেন্দ্র সহবাগ। তৃতীয় স্থানে ১২১ রান করে রয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ।
২০১৩তে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হয়ছিল শিখর ধবনের। অক্টোবরে ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। আর প্রত্যাবর্তনেই নিজের সেরা টেস্ট ইনিংসটি সেরে খেলে ফেললেন ধবন। সঙ্গে পঞ্চম সেঞ্চুরিটিও। এর আগে শিখর ধবনের সর্বোচ্চ রান ছিল ১৮৭। আর এ দিন নিজেকে ছাপিয়ে করলেন ১৯০। হয়ত প্রতিপক্ষের বোলারদের আবার বার্তা দিয়ে দিলেন।