টানা আট বার ট্রফি জয়ের ইতিহাস, না কি বোধনের রঙ হবে সবুজ মেরুন?

পুজোর আনন্দের মধ্যেই শুক্রবার ডার্বির দুই দল শহরে পৌঁছতেই তাদের নিয়ে মেতে উঠলেন সমর্থকেরা। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত। এদিন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছয় উইলিস প্লাজা, আল আমনারা।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৩:১১
Share:

উৎসাহ: শিলিগুড়িতে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকেরা। শুক্রবার। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

পুজোর আগে কলকাতা লিগের ট্রফি জয়ের বোধন এ বার কারা করবে তা নিয়ে সরগরম হয়ে উঠল শিলিগুড়ি। চতুর্থীর দিন কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ডার্বির ওই ফুটবল উৎসবেই ঠিক হতে চলেছে টানা আটবার ট্রফি জয়ের ইতিহাস ইস্টবেঙ্গল করবে না বোধনের রঙ হবে সবুজ মেরুন।

Advertisement

পুজোর আনন্দের মধ্যেই শুক্রবার ডার্বির দুই দল শহরে পৌঁছতেই তাদের নিয়ে মেতে উঠলেন সমর্থকেরা। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত। এ দিন বেলা সাড়ে ৩টে নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে পৌঁছয় উইলিস প্লাজা, আল আমনারা। তাঁদের স্বাগত জানিয়ে হোটেলে আনতে সেখানে হাজির গোটা ১৫ বাইক এবং লাল-হলুদের ফ্যানেরা। প্রিয় দলের পতাকা নিয়ে জার্সি গায়ে স্লোগান তোলে তাঁরা। ফুটবলারদের হোটেলে যাওয়ার সময় শিবমন্দির, মাটিগাড়া এলাকার পুজোর কেনাকাটার ভিড় থেকেও অনেকে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে হাত নেড়েছে। সেবক রোডের যে হোটেলে উঠবে সেই পর্যন্ত বাইক র‌্যালি করে সমর্থকেরা ইস্টবেঙ্গলকে পৌঁছে দেয়। হোটেলের লবিতেও চলে আমনাদের সঙ্গে নিজস্বী তোলার হিড়িক।

আরও পড়ুন: রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির অধিনায়কত্ব করবেন না গম্ভীর

Advertisement

গত এপ্রিলে আইলিগের ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। তাতে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় শহর শিলিগুড়িতে সবুজ-মেরুন শিবিরও উৎফুল্ল। সেবক মোড়ে তখন আছড়ে পড়েছে পুজোর বাজারের ভিড়। যানজট। তার মধ্যেই আনসুমানা ক্রোমা, কামোরা হোটেলের সামনে পৌঁছতেই অতিকায় পতাকা মেলে রাস্তায় হুল্লোড় করে শিলিগুড়ি মেরিনার্স ফ্যান ক্লাব। হোটেল কর্তৃপক্ষও দুর্গোৎসবের এই আমেজে ডার্বিকে হাতিয়ার করে হোটেল সাজিয়ে তুলেছে। হোটেলের প্রবেশ পথে লম্বা ফ্লেক্সে ফুটবলারদের মুখের ছবি। লবি সেজেছে সবুজ-মেরুন বেলুনে। সেখানে টিভি স্ক্রিনে ১৯১১ সালে শিল্ডজয়ী মোহনবাগান দলের ছবি, ক্লাবের পুরনো লোগোর কোলাজ। লেখা রয়েছে মোহন বাগান স্বপ্নের উড়ান, মোহন বাগান আজাদির গান........। হোটেলে ঢুকতেই টিকা, খাদা দিয়ে কোচ ফুটবলার, কর্মকর্তাদের বরণ করে নেওয়া হয়।

পাহাড়ের অশান্তির জেরে শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী, বিশেষ করে হোটেলগুলোর মন্দা চলছে। ডার্বির কারণে কয়েকদিন সেই দুঃখ কিছুটা ভুলে পুজোর মুখে লাভের আশা করছে হোটেল মালিকেরাও। পুজোর মধ্যে কলকাতা থেকে সমর্থকেরা কতটা আসবে সেই দিকে তাকিয় রয়েছেন তাঁরা।

বৃহস্পতিবার রাতে বৃষ্টি না-হওয়ায় এবং শুক্রবার দিনভর রোদ থাকায় রোলার চালানোর কাজ শুরু হয়। শনিবার সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘায় প্রথমে ইস্টবেঙ্গল পরে মোহনবাগানের অনুশীলনের কথা রয়েছে। এ দিন বিকেলে সামান্য বৃষ্টি হয়েছে।আকাশে মেঘও রয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন