অভিনব: ফাইনালে নামার আগে যুবভারতীতে স্পেনের প্র্যাক্টিস চলছে ড্রোনের (সাদা বৃত্তে চিহ্নিত) নজরদারিতে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
অবশেষে এসে গেল সেই দিন। বিশ্বকাপ ফাইনাল। যে লড়াই শুরু হওয়ার আগে একটা কথা সবার মাথায় রাখা দরকার। ইতিহাস কিন্তু শুধু চ্যাম্পিয়নদেরই মনে রাখে। ফাইনালে হেরে যাওয়া দলটা যতই ভাল হোক, চ্যাম্পিয়ন কিন্তু একটা টিমই হয়। শনিবার যুবভারতীতে আমরা সেই চ্যাম্পিয়ন টিমটাকে পেয়ে যাব— ২০১৭ অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন।
ট্রফির লড়াইয়ে নামছে স্পেন এবং ইংল্যান্ডের। এই টুর্নামেন্টে আমরা অনেক ভাল ভাল ম্যাচ দেখেছি। অনেক ভাল টিমকে দেখেছি। আর সব দেখার পরেই বলছি, দু’টো সেরা টিমই ফাইনালে খেলছে।
ইংল্যান্ড দেখিয়ে দিচ্ছে ওরা কত ভাল দল। দলে বুদ্ধিমান মিডফিল্ডার আছে, গোল করার ভাল ছেলে আছে। টিমটা খুব ভাল গুছিয়ে নিয়েছে। নক আউটে ভাল করতে গেলে যা যা দরকার, সে সবই আছে ইংল্যান্ড টিমে।
ইংল্যান্ডের গেমপ্ল্যানটা খুব সহজই হবে বলে মনে হয়। স্প্যানিশ আক্রমণকে আটকানো। আমার মনে হয় ফাইনালের ফয়সালা হবে মাঝমাঠের যুদ্ধে। দু’টো দলই স্ট্রাইকারের ওপর নির্ভরশীল। আর যখন কোনও দল স্ট্রাইকারদের ওপর নির্ভর করে, তখন মিডফিল্ড থেকে কতটা সাহায্য পাচ্ছে, এই ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই কোন টিমের সাপ্লাই লাইন কী রকম, তার ওপরই সম্ভবত ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে যাবে। স্প্যানিশরাও ফুটবলটা খুব সহজ করে খেলতে ভালবাসে। মালির বিরুদ্ধে আমরা যেটা দেখেছি। শারীরিক ভাবে ওরা হয়তো খুব শক্তপোক্ত নয়, কিন্তু অন্যান্য স্প্যানিশ দলের মতোই পাসিং ফুটবলের ওপর জোর দেয়। অল্প কয়েকটা পাস খেলেই বলটা ফাইনাল থার্ডে নিয়ে আসে।
ইংল্যান্ডের রিয়ান ব্রিউস্টারকে নিয়ে তো ইতিমধ্যেই হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে। ও প্রয়োজনে নীচে নেমে আক্রমণ তৈরি করতেও সাহায্য করে। বক্সের মধ্যে ওর দ্রুত নড়াচড়া আর গোল করার ক্ষমতা দুর্দান্ত। না হলে কী আর বিশ্বকাপে পর পর দু’টো ম্যাচে হ্যাটট্রিক করতে পারে! তবে এ বার উল্টো দিকে কিন্তু আরও একজন ন’নম্বর থাকবে। স্পেনের আবেল রুইজ। এই দু’জনের লড়াইটাও কিন্তু আলাদা আকর্ষণ হবে বলে মনে হয়।
একেবারে ঠিক জায়গাতেই বিশ্বকাপ ফাইনালটা হচ্ছে। রাজকীয় যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। যা শুনছি, ম্যাচের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, অসাধারণ একটা পরিবেশের মধ্যে ফাইনালটা হতে যাচ্ছে। আশা করব, সেরা দলটাই জিতবে।