ভরসা: বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের প্রধান অস্ত্র সুরজিৎ। নিজস্ব চিত্র
একজন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন। অপরজন নৌবাহিনীতে এখনও কর্মরত। প্রথম জন প্রো-কবাডি লিগে কলকাতার দল ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স’-এর কোচ কে কে জগদীশ। দ্বিতীয় জন জগদীশের টিমের অধিনায়ক সুরজিৎ সিংহ।
আর এই দু’জনের থেকে পাওয়া সেনা মন্ত্রেই প্রো-কবাডির খেতাব চলতি মরসুমে কলকাতায় আনার জন্য টলি ক্লাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন বঙ্গ যোদ্ধারা। গত চার বছরে এক বারই শেষ চারে গিয়েছিল ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স’। গত বছর ভাল দল গড়েও চোট-আঘাতেই শেষ হয়ে যায় কলকাতার টিমের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন।
হরিয়ানার সোনপতের ছেলে সুরজিৎ এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের সদস্য। এই মুহূর্তে কবাডির দুনিয়ায় বিশ্বের এক নম্বর রাইট কভার বলা হচ্ছে তাঁকেই। ভারতীয় ফুটবলাররাও শুনলে ঈর্ষান্বিত হতে পারেন, ৭৩ লক্ষ টাকায় সুরজিৎকে এ বার দলে নিয়েছে ‘বেঙ্গল ওয়ারিয়র্স’। জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার্স-এর হয়ে এর আগে খেতাব জিতেছেন। খেলেছেন মুম্বইয়ের দল ইউ মুম্বার হয়েও। মঙ্গলবার টলি ক্লাবে আনন্দবাজারকে বঙ্গযোদ্ধাদের নেতা বলছিলেন, ‘‘জিততে গেলে তিনটে জিনিস দরকার। এক, ফিটনেস চূড়ান্ত পর্য়ায়ে থাকতে হবে। দুই, শৃঙ্খলা কোনও মতেই ভাঙা চলবে না। তিন, মনকে ইস্পাতের মতো শক্ত রাখতে হবে।’’
সেই সূত্র মেনেই ৭ জুন থেকে টলি ক্লাবে চলছে দলের বিশেষ অনুশীলন। যেখানে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সেনারা কী ভাবে পরিস্থিতি সামলায়, সে কাহিনি যেমন শোনানো হচ্ছে, তেমনই শেখানো হচ্ছে কী ভাবে বিপক্ষকে পাকড়ে ধরতে হবে। বা বিপক্ষের জাল কেটে কী ভাবে ছিটকে বেরিয়ে আসতে হবে।’’
কোচ কেকে জগদীশও বলছেন, ‘‘ছয় সপ্তাহ ট্রেনিং-এর মধ্যে চার সপ্তাহ ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেছি। সেনা কায়দায় গোটা দলকে ফিট রাখা হচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন এ বার আমাদের হতেই হবে।’’
মঙ্গলবার টলি ক্লাবে টিমের জার্সি উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য কবাডি সংস্থার প্রধান সুব্রত মুখোপাধ্যায়। টিম সূত্রে খবর, বঙ্গযোদ্ধাদের টিমের অন্যতম মালিক হতে পারেন অক্ষয় কুমার। টুর্নামেন্টে বেঙ্গল ওয়ারিয়র্সের প্রথম খেলা ২ অগস্ট তেলুগু টাইটান্সের বিরুদ্ধে।