‘স্মোলারেকদের এখনও ভুলতে পারিনি’

নেহরু কাপে সে বার চিরিচ মিলোভান আমাদের কোচ ছিলেন। রোমানিয়া যুব দলের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ ড্র ছাড়া কোনও ম্যাচ জিততে পারিনি। কিন্তু খুব ভাল খেলেছিল সেবার আমাদের দল।

Advertisement

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ৩১ মে ২০১৮ ০৪:৪৮
Share:

স্মৃতি: ১৯৮৪ নেহরু কাপ ফাইনাল। পোল্যান্ডের শাসন। ফাইল চিত্র

দেশের জার্সিতে অনেক গোল করেছি। কিন্তু ১৯৮৪-র নেহরু কাপে পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে করা গোলটা জীবনের অন্যতম সেরা বলে মনে করি। সেই স্মৃতি মনে করলে এখনও তৃপ্তি হয়। দুটো কারণে এটা বেছে নিয়েছি। এক) পুরো টুনার্মেন্টে ভারত একটাই গোল করেছিল। সেটা ছিল আমার। দুই) যাঁদের বিরুদ্ধে গোল করেছিলাম সেই স্মোলারেক, র‌্যামোস, রোমানরা এখানে খেলতে আসার আগে বিশ্বকাপ যেমন খেলেছিল, পরের বিশ্বকাপেও এই টিমের ছয়-সাত জনকে খেলতে দেখেছি। মনে রাখতে হবে ইডেনে খেলতে নামার আগে ১৯৮২-তে পোল্যান্ড বিশ্বকাপে চতুর্থ হয়ে এখানে এসেছিল।

Advertisement

নেহরু কাপে সে বার চিরিচ মিলোভান আমাদের কোচ ছিলেন। রোমানিয়া যুব দলের বিরুদ্ধে একটা ম্যাচ ড্র ছাড়া কোনও ম্যাচ জিততে পারিনি। কিন্তু খুব ভাল খেলেছিল সেবার আমাদের দল। অতনু ভট্টাচার্য যদি আর্জেন্তিনার সঙ্গে একটা খারাপ গোল না খেতেন বা লাজলো কিসের হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে নরিন্দার থাপা যদি ওরকম গোল নষ্ট না করতেন, তা হলে আমরা ছিটকে যেতাম না। তবে পোল্যান্ড নয়, আমরা সেরা ম্যাচ খেলেছিলাম আর্জেন্তিনার বিরুদ্ধে। সেবার চিনের কাছে আমরা তিন গোলে হেরেছিলাম। ওই ম্যাচ দিয়ে যুবভারতী উদ্বোধন হয়েছিল। আমি ছিলাম অধিনায়ক। সে বার নেহরু কাপে চ্যাম্পিয়ন হয় পোল্যান্ড। চিনকে হারিয়ে।

মিলোভান স্যর প্রতি ম্যাচের আগে বিপক্ষের ফুটবলার ধরে ধরে বোঝাতেন। এতদিন পরেও মনে আছে যে, পোল্যান্ড ম্যাচের আগে বারবার সতর্ক করেছিলেন। জোনাল মার্কিং করতে বলেছিলেন ওদের কয়েক জনকে। পোল্যান্ডের চার জন ফুটবলার— স্মোলারেক, র‌্যামোস, রোমান আর গোলকিপার জোজেফের নাম সবার মুখে মুখে ঘুরত। এই সে দিনও রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে এক ফুটবল আড্ডায় শুনলাম অনেকেই ওদের কথা বলছে। ৩৪ বছর পরেও সবাই মনে রেখেছে পোল্যান্ডকে। আমার গোলের কথাও দেখলাম মনে করিয়ে দিলেন একজন। ২-০ পিছিয়ে থাকার পর ২-১ করে প্রশংসা পেয়েছিলাম কোচের। তবে পারমিন্দর (সিংহ), অলোক (মুখোপাধ্যায়), পেম (দোরজি), শেখ ফরিদরা খুব ভাল খেলেছিল। পোল্যান্ডের আক্রমণাত্মক ফুটবলের সামনে গুটিয়ে যায়নি। বারো বছর পর পোল্যান্ড আবার বিশ্বকাপের মূলপর্বে উঠেছে। ওদের নিজস্ব ফুটবল ঐতিহ্য আছে। তবে রাশিয়ায় বড় জোর শেষ আটে যেতে পারে পোল্যান্ড।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন