গর্জন: গোল করে উল্লসিত কলম্বিয়ার ফালকাও। রবিবার কাজানে। ছবি: টুইটার।
কলম্বিয়া ৩ • পোলান্ড ০
চার বছর অন্তর হয় একটা বিশ্বকাপ। আর সেখানে খেলতে পোড়াতে হয় প্রচুর কাঠখড়। কিন্তু এই বিশ্বকাপের অন্তত একটা দেশকে দেখে মনে হল এত আয়োজন হেলায় হারাতে তারা রাশিয়ায় খেলতে এসেছিল। রবার্ট লেওনডস্কির পোলান্ড। ফলও পেয়ে গেল হাতানাতে। কলম্বিয়ার হাতে চূর্ণ হয়ে এ বার তাদের ওয়ারশ-র বিমান ধরার পালা।
আপাত দৃষ্টিতে পোলান্ড খেলছিল ৩-৪-৩ ছকে। মাথায় বায়ার্ন তারকা লেওনডস্কির থাকার কথা। কিন্তু ম্যাচের ৮০ ভাগ সময় তাঁকে দেখা গেল ডিফেন্ডারদের সামনে। কোথায় উইং প্লে! হেড করার লোকই যে মাঝমাঠে নেমে। উল্টে বার্সেলোনায় লিয়োনেল মেসির সতীর্থ ইয়েরি মিনা সেই সেন্টারব্যাক থেকে ওভারল্যাপ করে এসে হেড করে ১-০ করে দিয়ে গেলেন। এবং তাঁকে বাঁ পায়ে অসাধারণ একটা ক্রশ বাড়ালেন হামেস রদরিগেস। মিনার কাজটা সহজ হয়ে গেল তাঁকে মার্ক করার মতো একজনও পোলিশ ফুটবলার সেখানে না থাকায়!
রবিবার কাজান এরিনায় কলম্বিয়াকে অক্সিজেন দিতে এসেছিলেন প্রচুর মানুষ। তুলনায় পোলান্ড সমর্থক হাতে গোনা। কলম্বিয়ানদের গর্জন আর বর্ণময় উপস্থিতির সঙ্গে দারুণ মানানসই হয়ে উঠেছিল পেকারম্যানের সৈনিকদের ফুটবল। খেলা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল একটা গোলে আটকে থাকার জন্য মাঠে নামেননি হামেসরা। হলও তাই। দিনের সেরা ফুটবলটা খেললেন মাঝমাঠের খুয়ান কুইনতারো। ৭০ মিনিটে তাঁর পাস থেকেই রাদামেল ফালকাও ২-০ করলেন গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে। পাঁচ মিনিট না যেতেই আবার গোল। এ বার সেই হামেসেরই অসাধারণ একটা পাস ধরে প্রায় একাই পোলান্ডের দুই ডিফেন্ডারকে বেদম করে গোল করে এলেন খুয়ান কুয়াদ্রাদো। কাজান এরিনার ভিআইপি বক্সে তখন হাতে হাত ধরে আনন্দে লাফাচ্ছেন কার্লোস ভালদেরামা আর রেনে হিগুইতা। কলম্বিয়ার ফুটবলকে যাঁরা মানুষের ড্রয়িংরুমে নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে রবিবার রাতে অন্তত তাঁদেরও ম্লান দেখাল মাঠের এগারো জন ঝকঝকে কলম্বিয়ান সৈনিকের পাশে! রাশিয়া বিশ্বকাপের নকআউটের দিকে তারা খানিকটা হলেও এগিয়ে গেল যে!