সুয়ারেসদের বিপরীতে নজরে আজ ‘থার্টি সেভেন’

ইতিমধ্যেই দিদিয়ে দেশঁর দলের নতুন তারকা ঘোষণা করে দিয়েছেন, কাপ জিতলে তা উৎসর্গ করবেন দেশের দুঃস্থ এবং অনাথ শিশুদের। জাতীয় দল থেকে পাওয়া বোনাস দান করে দেবেন শিশুদের হাসপাতালে।

Advertisement

রতন চক্রবর্তী

কাজ়ান শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৩
Share:

ফ্রান্সের অশ্বমেধের ঘোড়া কিলিয়ান এমবাপে।

কিলিয়ান এমবাপের সতীর্থরা এখন নতুন নামে ডাকছেন তাঁকে। ‘থার্টি সেভেন’। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে মাঝমাঠ থেকে দৌড়ে গোলটি করার সময় ফ্রান্সের নতুন প্রজন্মের তারকার গতি ছিল ঘণ্টায় সাঁইত্রিশ কিলোমিটার। সে জন্যই তাঁর এই নাম।

Advertisement

ইতিমধ্যেই দিদিয়ে দেশঁর দলের নতুন তারকা ঘোষণা করে দিয়েছেন, কাপ জিতলে তা উৎসর্গ করবেন দেশের দুঃস্থ এবং অনাথ শিশুদের। জাতীয় দল থেকে পাওয়া বোনাস দান করে দেবেন শিশুদের হাসপাতালে।

বাবা ফুটবল কোচ ছিলেন। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ছবি বাড়িতে সাজিয়ে বড় হয়ে ওঠা ফুটবলারটিকে নিয়ে বুধবার মজার উক্তি করেছেন ফ্রান্সের কোচ। ‘‘১৯৯৮ সালটা আমাদের সোনার বছর। আমরা বিশ্বকাপ জিতেছিলাম এবং এমবাপের জন্ম হয়েছিল। আমাদের সৌভাগ্যও ফ্রান্সে জন্মেছে।’’

Advertisement

রাশিয়ায় উপচে পড়া দেশ-বিদেশের ফুটবল পাগল মানুষ এখন টুনার্মেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা হ্যারি কেনের চেয়েও এমবাপেকে নিয়ে হইচই করছে বেশি। সবার চোখ টেনেছে এমবাপের স্কিল, গতি এবং আগুনে মনোভাব। ফ্রান্সের এক সাংবাদিকের মুখে শুনছিলাম, আড়াই বছর বয়স থেকেই ফুটবল মাঠে বাবার খেলা দেখতে বসে থাকতেন এমবাপে। বল মাঠের বাইরে এলেই দৌড়ে যেতেন সেটা মারতে। বাবাও বল ঠেলে দিয়ে তাঁকে দৌড়তে বলতেন। সেই অনুশীলনই হয়তো কাজে লাগছে এখন। এমবাপের মজ্জাগত হয়ে গিয়েছে গতি।

আরও পড়ুন: শেষ আটের যুদ্ধের আগে রক্ষণে জোর ‘মহার্ঘ’ কোচের

আটানব্বইতে ফ্রান্সের বিশ্বজয়ের বছরে ত্রিফলা হিসেবে ছিলেন জিদান, প্যাট্রিক ভিয়েরা এবং থিয়েরি অঁরি। এ বারও সে রকম আরও এক ত্রিফলা সোনা ফলাচ্ছে রাশিয়ায়। এমবাপে, পল পোগবা এবং আঁতোয়া গ্রিজম্যান। যাঁদের মিলিত গোলের বন্যায় প্রতিপক্ষকে ভাসিয়ে দিচ্ছে দেশঁর দল। তবে উরুগুয়ের রেকর্ডও চোখে পড়ার মতো। এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপে চার ম্যাচে মাত্র এক গোল খেয়েছে তারা। ব্রাজিল ছাড়া যে কৃতিত্ব আপাতত কারও নেই। তার চেয়েও বড় কথা, লুইস সুয়ারেসরা বিশ্বকাপের ওয়ার্ম-আপ এবং টুর্নামেন্ট ধরে গত সাতটি ম্যাচেই জিতেছেন। সেখানে একটিতে হেরেছে ফ্রান্স। বিশ্বকাপে দু’দলের মুখোমুখি হওয়ার পুরনো হিসেব নিলেও এগিয়ে থাকছে উরুগুয়ে। সব মিলিয়ে তিনটি ম্যাচ হয়েছে। উরুগুয়ে জিতেছে একটিতে। বাকি ড্র।

শুক্রবারের ম্যাচের আগে দু’দলই নিজেদের গোলকিপারকে যেমন তৈরি রাখছে পেনাল্টি রোখার জন্য। তেমনই ফুটবলারদের প্রচুর কিক মারা অনুশীলন করিয়েছেন দুই কোচই। আর্জেন্টিনা ম্যাচের মতো এখানেও ফের বার্সেলোনা বনাম বার্সেলোনা লড়াই দেখা যাবে। স্যামুয়েল উমতিতি বনাম সুয়ারেস। সুয়ারেস এ দিন মজা করে বলেছেন, ‘‘পরপর দু’বার উমতিতি যদি সফল হয়, তা হলে ওদের বিশ্বকাপ জেতা উচিত।’’

এই ম্যাচেও চোট এবং কার্ডের প্রভাব পড়তে চলেছে প্রবল ভাবে। ফ্রান্সের মাঝমাঠের ভরসা ব্লেজ মাতুইদি অবশ্য খেলতে পারবেন না জোড়া হলুদ কার্ড দেখায়। লম্বা চুলের জন্য উরুগুয়ের দর্শক যাঁকে আদর করে ডাকেন ‘গ্রিক গড’ বলে, সেই এদিনসন কাভানিও চোটের কারণেই সম্ভবত ম্যাচ খেলতে পারবেন না আজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন