বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরেও কাঠগড়ায় আর্জেন্টিনার দুই কিংবদন্তি। এক জন, লিয়োনেল মেসি। পেনাল্টি ফস্কানোর জেরে। অন্য জন, দিয়েগো মারাদোনা। মাঠের বাইরে ভিআইপি বক্সে বসে তাঁর আচরণের জন্য।
ঠিক কী করেছেন মারাদোনা?
মারাদোনার বিরুদ্ধে দু’টো অভিযোগ উঠছে। প্রথমটি বর্ণবিদ্বেষী আচরণের। দ্বিতীয়টি, নিয়ম ভাঙার। বলা হচ্ছে, মাঠে উপস্থিত দক্ষিণ কোরিয়ার এক সমর্থকের উদ্দেশে নাকি বর্ণবিদ্বেষমূলক অঙ্গভঙ্গি করেন আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি।
রবিবার সকালে নিজের ফেসবুক মারফত সেই অভিযোগের জবাব দেন তিনি। মারাদোনা লেখেন, ‘‘দেখলাম, এক জনকে ঘিরে জটলা। ছবিও তোলা হচ্ছিল। আমি ওদের সবাইকে বলি যে, দেখ এশিয়ার মানুষও আমাদের সমর্থন করছে। এটা দারুণ ব্যাপার।’’ দ্বিতীয় ঘটনা মারাদোনার চুরুট খাওয়া নিয়ে। স্টেডিয়ামে ফিফার বিশাল একটি হোর্ডিং টাঙানো ছিল। যেখানে লেখা ছিল, ‘‘তামাক মুক্ত ফিফা বিশ্বকাপে আপনাকে স্বাগত।’’ তার কাছাকাছি বসেই মারাদোনাকে চুরুট খেতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে একদফা বিতর্ক তৈরি হয়। যা থামাতে ফেসবুকে মারাদোনা লেখেন, ‘‘সত্যি কথা বলছি, আমি জানতামই না স্টেডিয়ামে কেউ ধূমপান করতে পারবে না। আমি এর জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’’ তবে সবাইকে দলের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন করেন তিনি।