হারের জন্য কি দায়ী অক্টোপাস, জল্পনা জাপানে

রাবিয়ো নামের যে অক্টোপাস গ্রুপ পর্বে জাপানের ম্যাচের ফল আগাম বলে দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল, তার মৃত্যুতেই উঠে গেল এই প্রশ্ন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪১
Share:

নিহত অক্টোপাসের অভিশাপেই কি জেতা ম্যাচ হাতছাড়া করে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হল জাপানকে?

Advertisement

রাবিয়ো নামের যে অক্টোপাস গ্রুপ পর্বে জাপানের ম্যাচের ফল আগাম বলে দিয়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিল, তার মৃত্যুতেই উঠে গেল এই প্রশ্ন। গ্রুপ পর্বে জাপানের শেষ ম্যাচে পোলান্ডের কাছে হারের ভবিষ্যদ্বাণী আগেই করে দিয়েছিল রাবিয়ো। তার আগে কেইসুকে হোন্দাদের জয় ও ড্র-ও আগে থেকে জানিয়ে দেয় সে। যার পরে তাকে নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায় জাপানে। কিন্তু পোলান্ডের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচের আগেই তার মালিক কিমিয়ো আবে তাকে বিক্রি করে দেন বাজারে।

সোমবার বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে যখন মাঠে নামেন হোন্দারা, ততক্ষণে হয়তো কোনও খাদ্যরসিক জাপানির সাশিমির (জাপানি খাবার) প্লেটে জায়গা হয়েছে রাবিয়োর। তার অভিশাপেই জাপানকে হারতে হল বলে মনে করছেন সে দেশের বহু ফুটবলপ্রেমী, জানিয়েছে জাপানি সংবাদপত্র মেইনিচি শিমবুন।

Advertisement

যে ভাবে সোমবার দু’গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ ২৫ মিনিটে বেলজিয়ামের দেওয়া তিন গোল খেয়ে ছিটকে যায় জাপান, তাতে তাঁদের দেশের মানুষের আফসোসের সীমা নেই। এই হতাশার হারের পরেই দেশের দুই তারকার অবসর ঘোষণায় হতাশা আরও বাড়ে। হোন্দা ও অধিনায়ক হাসেবে, দু’জনেই জানিয়ে দেন, তাঁরা আর দেশের হয়ে মাঠে নামবেন না। এসি মিলানের প্রাক্তন মিডফিল্ডার হোন্দা বলে দেন, ‘‘আজ আমরা দেখিয়ে দিয়েছি জাপানের ফুটবল কত এগিয়েছে। আমার আন্তর্জাতিক ফুটবল শেষ হয়ে গেল ঠিকই। কিন্তু আমার বিশ্বাস, দেশের তরুণ ফুটবলাররা ঠিক এগিয়ে নিয়ে যাবে।’’

দলের মিডফিল্ডার ও অধিনায়ক হাসেবেও এ দিন অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়ে আবেগ সামলাতে সামলাতে বলেন, ‘‘সতীর্থদের সবাইকে ধন্যবাদ। সেই ২০০৬ থেকে প্রায় সাড়ে ১২ বছর ধরে আমরা একসঙ্গে দেশের হয়ে খেলছিলাম। সবাই আমাকে সাহায্য করেছে। দেশের মানুষকেও ধন্যবাদ।’’ ।

দলের কোচ আকিরা নিশিনো বলেন, ‘‘আমি বিধ্বস্ত। দু’গোলে এগিয়ে থেকেও জিততে না পারাটা যে কতটা যন্ত্রণাদায়ক, তা বুঝিয়ে বলতে পারব না। কিন্তু এই কঠোর বাস্তবটা তো মেনে নিতেই হবে।’’

সোমবার হারলেও অবশ্য রাশিয়ার হৃদয় জয় করে নিয়েছেন জাপানের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা। হারের পরেও যখন গ্যালারিকে আবর্জনামুক্ত করে স্টেডিয়াম ছাড়েন সমর্থকেরা, তখন রস্তভে স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে ড্রেসিংরুম পরিষ্কার করছিলেন তাঁদের প্রিয় ফুটবলাররা।

মাঠ ছাড়ার আগে ড্রেসিংরুমে তাঁদের সৌজন্যবোধের ছাপও রেখে যান হেসেবেরা। ‘স্পাসিবো’ লেখা একটা পোস্টার রেখে যান সেখানে। রুশ ভাষায় এই ‘স্পাশিবো শব্দটি র মানে হল ধন্যবাদ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন