যুবভারতী স্টেডিয়াম। ছবি: সংগৃহীত।
৩১ জানুয়ারি স্টেডিয়ামের কাজ শেষ হওয়ার ডেট লাইন থাকলেও তা থেকে অনেকটাই দুরে রয়েছে যুবভারতী। যদিও তা নিয়ে ক্ষুব্ধ নন ফিফার টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর জেভিয়ের সেপি। বৃহস্পতিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন ঘুরে দেখতে এসেছিলেন জেভিয়ার সেপি। সঙ্গে ছিলেন সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ও আইএফএ-এর সভাপতি সুব্রত দত্ত। মাঠ থেকে স্টেডিয়াম পুরোটাই ঘুরে দেখেন ফিফার প্রতিনিধি। মাঠ তৈরি হয়ে গেলেও গ্যালারির কাজ এখও অনেকটাই বাকি। চারদিক এখনও ভাঙা অবস্থাতেই পরে রয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় কাজ চলছে ঠিকই। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি। যদিও কাজের গতি দেখে খুশি জেভিয়ার। তিনি বলেন, ‘‘একলাখের ওপরের গ্যালারিকে ৮৭ হাজারে নামিয়ে আনাটা সহজ নয়। কিন্তু আমার বিশ্বাস যখন পুরো কাজ শেষ হবে তখন এই স্টেডিয়াম বিশ্বমানের হবে।’’
আরও খবর: ফিরতি ডার্বির মাঠ নিয়ে শুরু ডামাডোল
আগামী মাসের শেষের দিকে আবার স্টেডিয়াম দেখতে আসবে ফিফার প্রতিনিধিরা। যা খবর দিন নির্ধারিত না হলেও মার্চের ২৭ বা ২৮ তারিখ আবার স্টেডিয়াম দেখতে আসবেন তাঁরা। সেপির বিশ্বাস তার মধ্যে ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে স্টেডিয়ামের। তবে সব থেকে বেশি আশার কথা শুনিয়েছেন টিকিটের দাম নিয়ে। ভারতের আর্থসামাজিক অবস্থার কথা মাথায় রেখে ও সাধারণ ফুটবল দর্শকদের কথা ভেবে টিকিটের দাম অনেক কম করা হচ্ছে। টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর বলেন, ‘‘একটা সিনেমা দেখতে একজনের যা খরচ হয় তার থেকেও কম খরচে দেখা যাবে বিশ্বকাপের ম্যাচ।’’ যেটা ফুটবলপ্রেমীদের জন্য সত্যিই সুখবর।
ফাইনাল যে কলকাতাই পাচ্ছে সেটা নিশ্চিত করে না বললেও এখনও এগিয়ে কলকাতাই। যদি সব কিছু সঠিক পথে এগোতে পারে। আশাবাদী সুব্রত দত্তও। এই স্টেডিয়ামকে ঢেলে সাজাতে খরচ হচ্ছে প্রায় একশো কোটির ওপর। যেখানে কেন্দ্র সরকারের থেকে পাওয়া গিয়েছে ১৪ কোটি। বাকি পুরোটাই করছে রাজ্য সরকার। সুব্রত দত্ত বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ সঙ্গে সম্মানের ব্যাপারও। ভারতে প্রথম বিশ্বকাপ যত দ্রুত সম্ভব আমরা কাজ শেষ করব।’’ এই বছর জুলাইয়ের শেষের দিকে ঘোষণা করা হবে টুর্নামেন্টের ফিক্সচার। মোট ৫২টি ম্যাচ, ছ’টি ভেন্যু। প্রতি ভেন্যু সাতটি করে ম্যাচ তো পাবেই। সঙ্গে সেমিফাইনাল, ফাইনালও।