মেসিদের প্র্যাকটিস। ছবি: এএফপি।
এক দিকে বিশ্বকাপের সোনার বল জয়ী লিওনেল মেসি। আর এক দিকে বিশ্বকাপের সোনার বুট জয়ী হামেস রদ্রিগেজ। যে ম্যাচকে এখনও পর্যন্ত বলা হচ্ছে কোপা আমেরিকার সেরা লড়াই। ভিনা দেল মারে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হতে চলেছে আর্জেন্তিনা ও কলম্বিয়া।
টুর্নামেন্টের শুরুতে আশা করা হয়েছিল এই দুই দলের আক্রমণ মাতিয়ে তুলবে কোপা। বাস্তবে হয়েছে ঠিক উল্টোটা। আগেরো-মেসি-দি’মারিয়া-ইগুয়াইন-তেভেজের মতো সেরা ফরোয়ার্ডদের নিয়েও একটা-দু’টোর বেশি গোল পায়নি আর্জেন্তিনা। পাশাপাশি কলম্বিয়া করেছে মাত্র একটা গোল। তা-ও গোল করেন সেন্টার ব্যাকে খেলা জেইসন মুরিয়ো। আর্জেন্তিনা কোচ জেরার্দো মার্টিনো তো বলেই দিয়েছেন, ‘‘আমাদের আরও বেশি গোল করতে হবে। ঘুমপাড়ানি ফুটবল খেললে মুশকিল আছে।’’
শোনা যাচ্ছে, ৪-২-৩-১ ছকেই দল সাজাবেন মার্টিনো। ডিফেন্সে থাকবেন গ্যারে-ওটামেন্ডি জুটি। দুই সাইডব্যাকে জাবালেতা ও রোখো। মাঝমাঠে মাসচেরানো ও বিগলিয়া। ফরোয়ার্ডে মেসি-সহ দি’মারিয়া-পাস্তোরে ও আগেরো।
পাশাপাশি কলম্বিয়ারও চিন্তা একই। গোল খরা রাতের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে কোচ হোসে পেকারম্যানের। তারকা ফরোয়ার্ড রাদামেল ফালকাও এখনও পর্যন্ত কোনও গোল করেননি। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে গত মরসুমে যেমন খারাপ ফর্মে ছিলেন, কলম্বিয়ার জার্সিতেও সেই এক ছবি। কলম্বিয়া সমর্থকরা তো প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। যাঁদের দাবি, ফালকাওকে প্রথম দল থেকে বাদ দেওয়া হোক। তার উপরে আবার বিপক্ষে রয়েছেন মেসি। যাঁকে কী ভাবে আটকাবেন কোচ এখনও সেই নিয়ে ধোঁয়াশা। পেকারম্যান বলেছেন, ‘‘মেসি বিশ্বের সেরা ফুটবলার। সঙ্গে দলে আরও ফুটবলার আছে যারা এখন খুব ভাল খেলছে।’’ তবে শেষ হাসি কে হাসবে এখন সেটাই দেখার।