আবার বিতর্কে ভারতীয় কুস্তি। —ফাইল চিত্র।
আবার বিতর্ক ভারতীয় কুস্তিতে। এ বার বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগে ১১ কুস্তিগিরকে নির্বাসিত করেছে ভারতের কুস্তি সংস্থা। দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন তদন্ত করে দেখেছে, ১১ কুস্তিগির জাল শংসাপত্র জমা দিয়েছিলেন। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের কুস্তি সংস্থা।
চলতি বছর দিল্লি কুস্তি সংস্থায় ১১০ জন কুস্তিগির দেরি করে তাঁদের জন্মের শংসাপত্র জমা দিয়েছেন। দেরি হওয়ায় দিল্লি কুস্তি সংস্থার অনুরোধে ঘটনা খতিয়ে দেখে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। তাতে দেখা গিয়েছে, ১১০ জনের মধ্যে ৯৯ জনের শংসাপত্রে কোনও কারচুপি নেই। দিল্লির বিভিন্ন মহকুমাশাসকের সই তাতে রয়েছে। নির্দিষ্ট পদ্ধতির মধ্যে দিয়েই তা জমা পড়েছে। কিন্তু বাকি ১১ জন জাল শংসাপত্র জমা দিয়েছেন। কোনও মহকুমাশাসক তাতে অনুমোদন দেননি। পুরোটাই ফোটোশপের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। তার পরেই তাঁদের নির্বাসিত করা হয়েছে।
যে ১১ জনকে নির্বাসিত করা হয়েছে তাঁদের নামও জানিয়েছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন। তাঁরা হলেন— সক্ষম, মনুজ, কবিতা, অংশু, আরুষ রানা, শুভম, গৌতম, জাগরুপ ধনখড়, নকুল, দুষ্মন্ত ও সিদ্ধার্থ। অর্থাৎ, এই ১১ জনের মধ্যে ১০ জনই পুরুষ কুস্তিগির। এক জন মহিলা কুস্তিগির নির্বাসিত হয়েছেন। এই ১১ জনের মধ্যে ছ’জনের জাল শংসাপত্র তৈরি হয়েছিল নারেলা। নজফগড়ে দু’জনের তৈরি হয়েছিল। রোহিনী, সিভিল লাইনস ও সিটি জ়োনে এক জনের জাল শংসাপত্র তৈরি হয়েছিল। জাল শংসাপত্র কী ভাবে তৈরি হয়েছিল বা এর সঙ্গে আর কেউ জড়িয়ে আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।
ভারতীয় কুস্তিুতে বয়স ভাঁড়ানোর অভিযোগ নতুন নয়। শারীরিক সুবিধা পেতে অনেক কুস্তিগির তাঁর থেকে অল্প বয়সি কুস্তিগিরদের বিরুদ্ধে খেলার চেষ্টা করেন। চলতি বছর হরিয়ানার অনেক কুস্তিগির দিল্লির হয়ে খেলার অনুরোধ করে। তাতেই সন্দেহ হয় ভারতীয় কুস্তি সংস্থার। তারা দিল্লি কুস্তি সংস্থাকে বিষয়টা খতিয়ে দেখতে বলে। তার পরেই এই কারচুপি ধরা পড়েছে।
তদন্তে দেখা গিয়েছে, অনেক কুস্তিগিরের জন্মের শংসাপত্র তাঁদের জন্মের ১২-১৫ বছর পর তৈরি করা হয়েছে। তখনই কারচুপি হয়েছে। সংবাদ সংস্থাকে ভারতীয় কুস্তি সংস্থার এক আধিকারিক বলেছেন, “অনেক প্রতিযোগিতায় বোঝা যাচ্ছে যে বেশি বয়সি কুস্তিগির কম বয়সি প্রতিযোগীর বিরুদ্ধে খেলছে। এটা হতে পারে না। আমরা ভারতীয় কুস্তিকে কালিমালিপ্ত হতে দেব না। যাঁরা প্রকৃত শংসাপত্র দিয়ে নিয়ম মেনে খেলছেন, তাঁরা যাতে কোনও ভাবে বঞ্চিত না হন সে দিকে আমরা খেয়াল রাখছি।”