কাঁধের চোটের জন্য ভারতীয় টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছেন ইংল্যান্ড সফরের আগেই। খেলা হয়নি রঞ্জি ট্রফিতেও। তবে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে বাংলার জার্সিতে প্রত্যাবর্তনের আশায় রয়েছেন ঋদ্ধিমান সাহা।
তিনি না থাকায় রঞ্জি ট্রফি মরসুমে চার বার উইকেটকিপার বদলেছে বাংলা। মরসুমের শুরুতে খেলেছেন শ্রীবৎস গোস্বামী। তার পরে দলে এসেছেন বিবেক সিংহ। অনূর্ধ্ব-২৩ দল থেকে সুযোগ দেওয়া হয় অগ্নিভ পানকেও। তবুও সমস্যা মেটেনি। শেষে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রথম একাদশে ফিরিয়ে আনা হয় শ্রীবৎসকেই। আসন্ন প্রতিযোগিতার আগে ঋদ্ধি সুস্থ হয়ে উঠলে অস্থায়ী উইকেটরক্ষকের সমস্যা মিটবে বাংলার।
ঋদ্ধিও আত্মবিশ্বাসী, এ মাসের মধ্যেই হয়তো সুস্থ হয়ে উঠবেন। তবে নিশ্চিত আশ্বাস দিতে পারছেন না বঙ্গ উইকেকিপার। শনিবার বেঙ্গালুরু থেকে ফোনে ঋদ্ধি বলেন, ‘‘আমি এখন অনেকটাই সুস্থ। ‘ডাইভিং’ শুরু করেছি। ইন্ডোরে স্পঞ্জের উপরে আপাতত ডাইভ দিচ্ছি। একই সঙ্গে চলছে রানিং ও রিহ্যাব। কয়েক দিনের মধ্যে মাঠেও ডাইভিং শুরু করব। সব কিছু সময় মতো এগোলে এ মাসের শেষেই মাঠে ফিরতে পারি।’’
এনসিএ-র ইন্ডোরেই থ্রো-ডাউনের সাহায্যে ব্যাটিংও শুরু করেছেন ভারতীয় উইকেটকিপার। যে ভিডিয়ো নিজেই টুইট করেন শুক্রবার রাতে। ঋদ্ধি আরও জানিয়েছেন, ফেব্রুয়ারিতে ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজে প্রত্যাবর্তন ঘটতে পারে তাঁর। বলেন, ‘‘এ মাসের মধ্যে সুস্থ হলে ভারত ‘এ’-র হয়েও খেলতে পারি।’’ আপাতত কলকাতায় ফেরার পরিকল্পনা নেই ভারতীয় উইকেটকিপারের। একেবারে ফিট না হয়ে শহরে ফিরবেন না তিনি।
রঞ্জি চলাকালীন শহরে না থাকলেও প্রত্যেক ম্যাচের খবর রেখেছেন। প্রথম রাউন্ড থেকে বাংলা ছিটকে গেলেও সতীর্থদের পাশে দাঁড়াতে ভোলেননি ঋদ্ধি। বলে দিলেন, ‘‘ক্রিকেটে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। আমরা বেশ কয়েকটি ক্লোজ ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছি।’’
এ দিকে আগামী সপ্তাহেই কোচ সাইরাজ বাহুতুলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করা হতে পারে। সিএবি সূত্রে ইঙ্গিত সে রকমই। ২০১৫-’১৬ মরসুমে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পরে কোনও প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়নি বাংলা। গত বার বিজয় হজারে ট্রফির প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছিল সাইরাজের দল। তার উপর রঞ্জি বিপর্যয়। তাই আগামী সপ্তাহেই গোটা দলের ‘রিভিউ’ করতে বসবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও অভিষেক ডালমিয়া। সেখানেই তোলা হবে সাইরাজ প্রসঙ্গ।