ম্যাকোর পরে রঞ্জিতে কোচবিহারের বাবুও

ম্যাকোর পর বাবু। ফের রঞ্জি দলে কোচবিহারের ঘরের ছেলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:৪৬
Share:

পাশাপাশি: শিবশঙ্কর পালের (বাঁ দিকে) সঙ্গে অনন্ত সাহা। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

ম্যাকোর পর বাবু। ফের রঞ্জি দলে কোচবিহারের ঘরের ছেলে।

Advertisement

শনিবার পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ঘোষিত রঞ্জি দলে অনন্ত সাহার সুযোগ পাওয়ার খবর আসতেই উচ্ছ্বাসে ভাসল কোচবিহার। উৎসাহী ক্রিকেটপ্রেমীরা তাঁদের প্রিয় বাবুর সাফল্যে মিষ্টিমুখেও মাতেন। এ দিন ফালাকাটায় মেয়ের বাড়িতে ছিলেন অনন্তের মা জ্যোৎস্নাদেবী। সেখানে মহাকালবাড়ি মন্দিরে ছেলের মঙ্গল কামনায় পুজো দেন তিনি। অনন্ত এখন কলকাতায়। তিনি বলেন, “বিকেল নাগাদ প্রথম ওই খবরটাই পাই। অনেকটা স্বপ্নের মত লাগছিল। দারুণ আনন্দ হচ্ছে। তবে এখন থেকে আমার নতুন লড়াই শুরু হল। প্রথম একাদশে সুযোগ পেলে নিজেকে নিংড়ে দিতে চাইছি। সেটাই এখন লক্ষ্য।” অনূর্ধ্ব ২৩ বাংলা দলের হয়ে চলতি মরসুমে নজরকাড়া ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেই অনন্ত এই সুযোগ পেয়েছেন বলে মনে করছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমীরা। ম্যাকো বলে খ্যাত, তুফানগঞ্জের ছেলে, প্রাক্তন ক্রিকেটার শিবশঙ্কর পাল বলেন, “নতুন বছরে সবথেকে বড় উপহার। এমন দিনের অপেক্ষাতেই ছিলাম। অনন্তকে নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী।”

পরিবার সূত্রে খবর, আর্থিক অনটনের মধ্যে লড়াই করে উঠে আসেন অনন্ত। বাবা নেই। দাদা অসীমবাবু মুদি দোকান করে সংসার চালান। তিন বোনের অবশ্য বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ফালাকাটা থেকে ফোনে অনন্তের মা জ্যোৎস্নাদেবীর গলা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ছিল। তিনি বলেন, “বাবু আমার বাড়ির ছোট ছেলে। সবার কাছে অনন্ত নামে পরিচিত হলেও আমার কাছে আজও ছোটবেলার মত বাবুই রয়েছে।” আগামী দিনের বাবু দেশের হয়ে খেলবে বলেও তিনি স্বপ্ন দেখেন বলে জানালেন জ্যোৎস্নাদেবী।

Advertisement

অনন্তের আপাতত লক্ষ্য বাংলা-পঞ্জাব রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে। বললেন, “খেলার সুযোগ পেলে নিজেকে উজাড় করে দেব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement