গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ডেভিড মিলার, বীরেন্দ্র সহবাগ— নামগুলো শুনলে কিছুটা যেন অসন্তুষ্টই হচ্ছেন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে নিজেও পরপর সাজিয়ে দিচ্ছেন কয়েকটা নাম।
গৌতম গম্ভীর, রবিন উথাপ্পা, সূর্যকুমার যাদব, ইউসুফ পাঠান। বক্তার নাম? ইউসুফ পাঠান স্বয়ং।
‘‘ওদের যদি ম্যাক্সওয়েল-মিলার থাকে তো আমাদের টিমেও তো এরা আছে। কাকে কাকে আটকাবে ওরা? সোজাসুজি বলছি, কেকেআর বিপক্ষকে নিয়ে ভাবে না। প্রতিপক্ষকে নিয়ে ভাবলে তো আমরা নিজেরা খেলতে পারব না। তবে হ্যাঁ, সবার জন্য শুভেচ্ছা রইল,’’ এ দিন সন্ধেয় টিম হোটেলে বসে বলছিলেন ইউসুফ। ব্যাটে যাঁর এখনও ঝড় ওঠেনি, কিন্তু বল হাতে উইকেট তুলতে শুরু করে দিয়েছেন।
কিঙ্গস ইলেভেন পঞ্জাব ম্যাচ খেলতে বুধবার পুণে রওনা হচ্ছে কেকেআর। অর্থাৎ, গত আইপিএল ফাইনালের রিপ্লে। লিগ টেবল ধরলে দু’টো টিমেরই আপাতত একই অবস্থান। ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে দু’টো, জিতেছে একটা। আর তার আগে ইউসুফের মনে হচ্ছে, ফাঁড়াটা আরসিবির বিরুদ্ধে কেটে গিয়ে ভাল হল।
‘‘টুর্নামেন্টের এখনও অনেক বাকি। এখন হেরে যাওয়ায় একটা সুবিধে হল, নিজেদের সমস্যাগুলো খুব দ্রুত শুধরে নেওয়া যাবে। ধরে ফেলা সম্ভব হবে আমরা কোথায় ভুল করছি, আর তার সমাধান কী,’’ বলে দিচ্ছেন সিনিয়র পাঠান। এটাও শুনিয়ে রাখা হল যে, আরসিবির কাছে হার নিয়ে টিম মোটেও তেমন ভাবিত নয়। কারণ ওটা গেইলের একার শো ছিল। বোলাররাও যে মার খেয়ে এত দিনের ‘মোমেন্টাম’ হারিয়ে ফেলবেন, এটাও ভাবার কারণ নেই। ‘‘কৃতিত্বটা বরং গেইলকে দেওয়া উচিত। ও এ রকম খেলে ম্যাচটা নিয়ে বেরিয়ে গেল। তাতে আমাদের বোলারদের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়বে কেন?’’
রবিন উথাপ্পার মতো কেউ কেউ আবার শহরেও নেই। শোনা গেল, কেকেআর ওপেনার বন্ধুর বিয়ে উপলক্ষ্যে দু’দিনের ছুটি নিয়ে ফিরে গিয়েছেন। আপাত-দৃষ্টিতে দু’টো ব্যাপার নিয়ে একটু ভাবার আছে। শোনা যাচ্ছে, পুণেতে লো বাউন্স উইকেট হতে পারে। আর দ্বিতীয়, সুনীল নারিনের ফর্ম। দু’টো ম্যাচ হয়ে গিয়েছে, কিন্তু নারিনের ঝুলিতে এখনও কোনও উইকেট ঢোকেনি। কোনও কোনও মহল থেকে বলা হচ্ছে, অ্যাকশন পাল্টাতে হয়েছে বলেই কার্যকারিতা কমে গিয়েছে নারিনের। যে দু’টো প্রসঙ্গই উড়িয়ে দিলেন ইউসুফ। পুণের উইকেট নিয়ে তাঁর সাফ বক্তব্য, লো বাউন্স উইকেটে কেকেআর ব্যাটিং সমস্যায় পড়বে, কে বলল? আর নারিন প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘নারিনকে অনেক চাপ সামলে টুর্নামেন্টে নামতে হয়েছে। আর দু’টো ম্যাচে উইকেট পায়নি বলে নারিন খারাপ বোলার হয়ে গেল, এটাও বা কী ধরনের যুক্তি? ও আগের মতোই ভয়ঙ্কর।’’