যুবির আক্ষেপ, স্থায়িত্ব পাননি আইপিএলে

মঙ্গলবার কলকাতার এক পাঁচ তারা হোটেলে জীবনকৃতি সম্মান নিতে এসে যুবরাজ বলেন, ‘‘বহু দিন ধরে আইপিএল খেলেছি। কিন্তু কোনও দলে স্থায়ী হতে পারিনি। বলা যেতে পারে এটা একটা আক্ষেপ।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৯ ০৫:২৪
Share:

অতিথি: মঙ্গলবার কলকাতায় যুবরাজ সিংহ। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

টানা ১১ বছর আইপিএল খেলেছেন যুবরাজ সিংহ। ১৩২ ম্যাচে তাঁর রান ২৭৫০। রয়েছে ১৩টি হাফসেঞ্চুরি। ৩৬টি উইকেটেও তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু কোনও দলেই স্থায়ী হতে পারেননি। শুরু করেছিলেন কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের হয়ে। তার পরে পুণে ওয়ারিয়র্স ইন্ডিয়া, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (ক্যাপিটালস), সানরাইজার্স হায়দরাবাদ এমনকি মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়েও খেলেছেন। তাই টানা কোনও দলে বেশি দিন না খাকার আক্ষেপ তাঁর রয়ে গিয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার কলকাতার এক পাঁচ তারা হোটেলে জীবনকৃতি সম্মান নিতে এসে যুবরাজ বলেন, ‘‘বহু দিন ধরে আইপিএল খেলেছি। কিন্তু কোনও দলে স্থায়ী হতে পারিনি। বলা যেতে পারে এটা একটা আক্ষেপ।’’ ২০১১ বিশ্বকাপের ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট যুবরাজ ২০১৪ সালে খেলেন আরসিবি-র হয়ে। সে বছরই ১৪ কোটি টাকায় তাঁকে নেয় আরসিবি। যুবি বলছিলেন, ‘‘সে বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সে খেলতে, খেলতেও খেলা হয়নি। দেখছিলাম আরসিবি-র সঙ্গে নিলামে আমাকে পাওয়ার জন্য লড়ছিল কেকেআর। কিন্তু শেষমেশ ইডেনকে ঘরের মাঠ বানানো হয়নি।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘সেই মরসুমটাই আমার বিচারে সব চেয়ে সেরা। এর থেকে ভাল আর কোনও আইপিএলে খেলিনি।’’

যুবি যদিও জানিয়েছেন, যে ক’টি দলের হয়ে আইপিএল খেলেছেন প্রত্যেকটিতেই খুব ভাল ব্যবহার পেয়েছেন। তবে বিশেষ স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে। ভারতীয় অলরাউন্ডারের কথায়, ‘‘প্রথম বার আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিই অন্য রকম। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেও প্রচণ্ড ভাল লেগেছে। যে দলের হয়েই খেলি না কেন, খুব ভালবাসা ও সমর্থনের কোনও অভাব হয়নি।’’

Advertisement

স্মৃতিচারণা করতে বসে ফিরে গেলেন সেই ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। যেখানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছ’টি ছয় মেরে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন তিনি। বলে গেলেন, ‘‘এখনও চোখ বন্ধ করলে সেই মুহূর্ত চোখে ভাসে। কখনও ভুলব না। পঞ্চম বলটি ইয়র্কার মেরেছিল ব্রড। তবুও গ্যালারিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। ক্রিকেট জীবনে সেই ম্যাচ অনেক পরিণত করেছিল আমাকে।’’ আরও বলেন, ‘‘তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিন্তু ক্রিকেটের অর্থ বদলে দিয়েছে। তার পর থেকেই অনেক দ্রুত হয়ে গিয়েছে ক্রিকেট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন