হতাশ: মেসির কাছে হার, বিষণ্ণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: এএফপি।
তিনি ক্লাবকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়েছেন। দিয়েছেন লা লিগাও। ফিফার বর্ষসেরা ম্যানেজারের পুরস্কারও পেয়েছিলেন তিনি। সেই জিনেদিন জিদানের ভাগ্যই এখন প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে। এল ক্লাসিকোয় বার্সেলোনার কাছে ০-৩ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পরে সান্তিয়াগো বের্নাবাউয়ে দাঁড়িয়ে দর্শকদের বিদ্রুপও শুনতে হল রিয়াল মাদ্রিদ ম্যানেজারকে।
জিদান নিজে এই হারের পরে কী ভাবছেন? ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে এসে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোদের ম্যানেজার জানিয়ে দেন, এই হার হজম করা কঠিন হলেও তিনি প্রথমার্ধের খেলায় যথেষ্ট ইতিবাচক দিক দেখতে পেয়েছেন। জিদান বলেন, ‘‘আমরা একটা ভুল করেছি। আমাদের ডিফেন্সও ঠিক মতো খেলতে পারেনি। তবে ভেঙে পড়ার মতো কিছু হয়নি।’’
জিদান আরও বলে দিচ্ছেন, এই ফলের পরেও বিশাল কিছু পরিবর্তন করার প্রয়োজনীয়তা তিনি দেখছেন না। ‘‘এখনই এই নিয়ে বিশাল হইচই করার কোনও মানে হয় না। হ্যাঁ, আমরা তিন গোল খেয়েছি। জঘন্য ভাবে হেরেছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব কিছু বদলে দিতে হবে,’’ বলেন জিদান। তাঁর আক্ষেপ, ‘‘আমরা ভাল শুরু করেছিলাম। প্রধমার্ধে দারুণ লড়াইও হয়েছিল। সে জন্য এই হারটা আরও খারাপ লাগছে।’’
রিয়ালের হারের দিনে লিওনেল মেসি আবার ব্যক্তিগত একটি রেকর্ডও করে ফেললেন। যে কোনও একটি ক্লাবের হয়ে ইউরোপের সেরা পাঁচটি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি গোল করার রেকর্ড। যে রেকর্ড এর আগে যুগ্মভাবে ছিল মেসি এবং গার্ড মুলারের দখলে। কিন্তু শনিবার বার্সেলোনার হয়ে নিজের ৫২৬তম গোল করে জার্মান কিংবদন্তি মুলারকে টপকে গেলেন মেসি।
এই জয়ের ফলে বার্সেলোনার চেয়ে ১৪ পয়েন্ট পিছিয়ে পড়ল রিয়াল। ফলে ধরে নেওয়া হচ্ছে এ বারের লা লিগায় রিয়ালের প্রত্যাবর্তন প্রায় অসম্ভব। কিন্তু জিদান এখনই হাল ছাড়তে রাজি নন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘লিগ টেবল যা-ই বলুক না কেন, আমরা লড়াই থেকে সরছি না। লিগ কিন্তু শেষ হয়ে যায়নি।’’
এই হারের থেকে কী ভাবে ফিরে আসা যায়? জিদানের জবাব, ‘‘আমাদের এই হারটা ভুলে যেতে হবে। আমরা এখন ছুটিতে যাব। আমাদের পরিবারের সঙ্গে ছুটি উপভোগ করব। এই হারটা নিয়ে ভাবলে চলবে না। তার পর আমাদের ফিরে আসতে হবে।’’
একই সঙ্গে জিদানের প্রথম একাদশ বাছা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যা নিয়ে রিয়াল ম্যানেজার বলেন, ‘‘আমার যে দলটা সেরা মনে হয়েছে, সেটাই খেলিয়েছি।’’ শোনা যাচ্ছে, ম্যাচের মাঝপথে ইস্কোকে ওয়ার্ম আপ করতে বলা হলে তিনি তা করেননি। যা নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে। ইস্কো অবশ্য রাতে পরিষ্কার বলে দেন, এ রকম কিছু হয়নি।