কোচ জিদান। ছবি: এএফপি
স্বাগত বের্নাবাওয়ে। স্বাগত রিয়াল মাদ্রিদে। আরও একবার।
তাঁর অভিষেক দেখতে ভরে গিয়েছিল স্টেডিয়াম। তাঁকে দেখে ফের উঠল সেই পরিচিত গর্জন— জিজু, জিজু। রিয়াল মাদ্রিদ সিনিয়র টিমে কোচ হিসেবে জিনেদিন জিদানের অভিষেকটাও হল একেবারে ‘ফাইভ স্টার’। ডেপোর্টিভো লা করুনাকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে।
জিদানের অভিষেক ম্যাচটা অবশ্য ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকল না। বরং ব্যালন ডি’অরের দু’দিন আগে নিস্প্রভই লাগল সিআর সেভেনকে। জিদানের প্রথম ম্যাচে দাপট দেখালেন গ্যারেথ বেল। হ্যাটট্রিক করে প্রমাণ করে দিলেন দলের প্রধান মুখ হয়ে উঠতে তিনি তৈরি। বাকি দুটো গোল করেন করিম বেঞ্জিমা। যদিও বেলকে নিয়ে এখন গুঞ্জন থামেনি। শোনা যাচ্ছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডে চলে যেতে পারেন তিনি। ইতিমধ্যেই নাকি রাফা বেনিতেজ চলে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ বেল রিয়াল প্রেসিডেন্টকে টেক্সট মেসেজও পাঠিয়েছেন।
যে দল পাঁচ গোল করে তাদের কোচের সাধারণত খুশি থাকার কথা। কিন্তু তাঁর নাম যে জিদান। যিনি অল্পে সন্তুষ্ট হওয়ার মতো ব্যক্তি নন। ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে দলের থেকে আরও বেশি গোল দাবি করলেন ‘জিজু’। বললেন, ‘‘আরও বেশি সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। অনুশীলনে যা যা প্রস্তুতি নিয়েছিল দল সে রকম ভাবেই খেলেছে।’’
ওয়েলস উইজার্ডের হ্যাটট্রিক ছাড়াও করিম বেঞ্জিমা করলেন জোড়া গোল। এ দিন বের্নাবাওয়ে কিক অফের আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল জিদান-উন্মাদনা। জায়ান্ট এরিনায় জিদানকে দেখেই রিয়াল সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস ছিল দেখার মতো। জিদান নিয়ে উন্মাদনা কিছুটা হলেও ঢেকে দিল রোনাল্ডোর ব্যর্থতা। গোল তো পাননি, এমনকী সতীর্থদের গোলের সময় আবার ক্যামেরায় ধরা পড়ে রোনাল্ডোর বিষাদগ্রস্ত মুখ। বিশেষ উৎসব করতেও দেখা যায়নি তাঁকে। যে রাতে তাঁর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মেসি হ্যাটট্রিক করলেন, সেই রাতে রোনাল্ডোর ব্যর্থতা তাঁর সমর্থকগের একটু বেশি মাত্রায় হতাশ করল বইকী। বিশেষ করে সেই রাত যদি ব্যালন ডি’অরের ৪৮ ঘণ্টা আগে হয়।
অপরাজিত হিডিঙ্ক: এফএ কাপের প্রথম পরীক্ষাও পাশ করলেন খুস হিডিঙ্ক। রবিবার রাতে স্কানথর্প ইউনাইটেডকে ২-০ হারিয়ে এফএ কাপের চতুর্থ রাউন্ডে উঠল চেলসি। মাঝপথে দায়িত্ব নিয়ে এখনও অপরাজিত থাকলেন হিডিঙ্ক। ম্যাচের শুরুতেই গোল করে চেলসিকে ১-০ এগিয়ে দেন দিয়েগো কোস্তা। দ্বিতীয়ার্ধে রুবেন লফটাস চিকের গোলে ম্যাচে জয় নিশ্চিত করে চেলসি। হিডিঙ্ক বলেন, ‘‘দলের খেলায় আমি খুশি। বিশেষ করে রুবেন। ওর গোলটা দারুণ ছিল।’’