সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে গেলেন এন শ্রীনিবাসন। কিন্তু এত সব ঘটার পরেও কিন্তু আগামী মাসে আইসিসি-র বৈঠকে ভারতীয় বোর্ডের প্রতিনিধিত্ব করবেন সেই শ্রীনি-ই।
দুবাইয়ে ৯-১০ এপ্রিল আইসিসি-র এগজিকিউটিভ বোর্ডের যে বৈঠক হবে, তাতে শ্রীনিবাসনের যেতে আইনি বাধা নেই, জানিয়ে দিলেন বোর্ড সচিব সঞ্জয় পটেল। “আমরা চাই শ্রীনিবাসনই ওই সভায় বিসিসিআই প্রতিনিধি হয়ে যান,” বলেছেন বোর্ড সচিব। সঙ্গে যোগ করেছেন, “বিশ্ব ক্রিকেট প্রশাসনে ভারতীয় বোর্ড যে এতটা ক্ষমতার অধিকারী হয়ে উঠেছে, তা তো ওঁর পরিশ্রম ও উদ্যোগের জন্যই। উনি যাবেন না তো কে যাবেন? তা ছাড়া আদালত শ্রীনিবাসনকে আইসিসি-র সভায় যেতে বারণ করেনি।”
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে বোর্ডের আইনজীবী আর্জি জানান, শ্রীনিবাসন বোর্ড প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে গেলেও আইসিসি-তে তাঁর অবস্থানে যাতে আঁচ না লাগে, রায় দেওয়ার সময় তার উল্লেখ করার জন্য। কিন্তু বিচারপতিরা জানিয়ে দেন, এই ব্যাপারে তাঁরা কিছু বলবেন না। কারণ, এটা বোর্ডের ‘আভ্যন্তরীন’ ব্যপার। কিন্তু আদালত এটা স্পষ্ট জানিয়েছে, ইন্ডিয়া সিমেন্টসের কোনও পদাধিকারী বোর্ডের কোনও পদে থাকতে পারবেন না। এর ফলে আইসিসি-র বৈঠকে যোগ দিতে গেলে শ্রীনিবাসনকে তাঁর নিজের কোম্পানির পদ থেকে ইস্তফা দিতে হবে, ওয়াকিবহাল মহলের এমনই ধারণা। কিন্তু বোর্ডের একটি মহল অন্য একটি রাস্তা দেখছে এবং সম্ভবত সেই রাস্তায় হেঁটে দুবাই পৌঁছতে পারেন শ্রীনি।
অন্য রাস্তা কী? বোর্ডের এক কর্তার কথায়, “শ্রীনি যেহেতু এখনও তামিলনাড়ু ক্রিকেট সংস্থার প্রেসিডেন্ট, তাই বোর্ড তাঁকে আইসিসি-র সভায় যোগ দেওয়ার জন্য মনোনীত করতেই পারে। এতে আদালতের রায় অমান্য করা হবে না। কারণ উনি বোর্ড প্রশাসনের কোনও ব্যাপারে নাক গলাচ্ছেন না। বোর্ডের তরফে আইসিসি-র বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছেন।” দুবাইয়ের এই সভায় যদি শ্রীনি যোগ দিতে পারেন, তা হলে জুলাইয়ে তাঁর আইসিসি চেয়ারম্যানের আসনে বসার পথও প্রশস্ত হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছে বোর্ডের ওয়াকিবহাল মহল।