আদালত শাস্তি না দিলে শ্রীনির আইসিসি মসনদ নিষ্কণ্টক

দুবাইয়ের আইসিসি বৈঠকে তাঁকে যেতে দেওয়া হোক বা না হোক, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের আইসিসির মসনদে বসে পড়া এখন নিছকই তিন মাসের অপেক্ষা। সে যতই তাঁকে থামানোর চেষ্টা হোক না কেন! মঙ্গলবার এ কথা জানালেন একই সময় আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদে যিনি নির্বাচিত হবেন, সেই মুস্তাফা কামাল। কামাল বছরখানেক আগে বাংলাদেশ বোর্ডের শীর্ষ কর্তা ছিলেন।

Advertisement

গৌতম ভট্টাচার্য

ঢাকা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৩০
Share:

দুবাইয়ের আইসিসি বৈঠকে তাঁকে যেতে দেওয়া হোক বা না হোক, নারায়ণস্বামী শ্রীনিবাসনের আইসিসির মসনদে বসে পড়া এখন নিছকই তিন মাসের অপেক্ষা। সে যতই তাঁকে থামানোর চেষ্টা হোক না কেন!

Advertisement

মঙ্গলবার এ কথা জানালেন একই সময় আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদে যিনি নির্বাচিত হবেন, সেই মুস্তাফা কামাল। কামাল বছরখানেক আগে বাংলাদেশ বোর্ডের শীর্ষ কর্তা ছিলেন। এখন হাসিনার ক্যাবিনেটে তিনি পরিকল্পনা মন্ত্রী। একই সঙ্গে জুলাইয়ে তিনি নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট। পদ হিসেবে শ্রীনিরটা যদি প্রধানমন্ত্রীর হয়— কামাল হতে যাচ্ছেন আইসিসির রাষ্ট্রপতি। যেমন ২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী টিমের হাতে কামালই ট্রফি তুলে দেবেন।

কামাল খবর পাননি যে, ললিত মোদীর রাজস্থান ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধি এ দিন শ্রীনির বিরুদ্ধে ম্যাচ ফিক্সিং জনিত নতুন এফআইআর করেছেন। এ-ও জানতেন না যে এ দিন মোদী বলেছেন, দুবাই বৈঠকে ভারতের হয়ে শ্রীনির প্রতিনিধিত্ব করা আইনসিদ্ধ নয়। বোর্ডের প্রাক্তন আইনজীবী ঊষানাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও মঙ্গলবার জানাচ্ছেন, তাঁর মতে শ্রীনির দুবাই বৈঠকে যাওয়ার কোনও আইনি এক্তিয়ার নেই।

Advertisement

আইসিসির হবু প্রেসিডেন্ট অবশ্য দুবাই বৈঠকে শ্রীনির যেতে পারা বা না পারা নিয়ে এতটুকু আলোড়িত নন। এবিপি-কে মুস্তাফা কামাল বললেন, “দুবাইয়ে গেল না তো কী! সে তো শুনলাম শ্রীনি বাংলাদেশেও আসছে না। তাতে তো আর জুলাইয়ে দায়িত্ব নেওয়া আটকাবে না। নিয়ম অনুযায়ী চার মাস আগেই চেয়ারম্যান কে হবে, নাম পাঠিয়ে দিতে হয়। তা শ্রীনির নাম তো অলরেডি চলে গিয়েছে।”

এই পযন্ত পৌঁছে যদি মনে হয় কামাল তীব্র শ্রীনি-সমর্থক, তা হলে ভয়ঙ্কর ভুল করা হবে। আদালত শ্রীনিকে আটকালে অখুশি হবেন মনে করার এক পার্সেন্টও কারণ নেই। কিন্তু কামাল মনে করেন, আইসিসির আইনটা আইনই। আর সেটা কোনও সেন্টিমেন্টের ধার ধারে না। “ভাল করে জেনে নিন নিয়মটা,” বললেন কামাল। “যতক্ষণ না ক্রিমিন্যাল কেসে আপনি নিজে শাস্তি পাচ্ছেন, ততক্ষণ আইসিসিতে আপনার যাওয়া আটকাবে না। সুপ্রিম কোর্ট উষ্মাসূচক মন্তব্য করল। করে ভারতীয় বোর্ডের শীর্ষ পদ থেকে সরিয়ে দিল— এগুলো যথেষ্ট নয়। অপরাধের জন্য পৃথক শাস্তি পেলে তবেই। সেই মামলার ধরনও ক্রিমিন্যাল কেস হওয়া চাই।”

কামাল মনে করেন, এই আইন জানা থাকার কারণেই আইসিসির ভেতর থেকে শ্রীনির বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠছে না। এর বাইরেও অবশ্য পদে না বসার একটা অনিশ্চয়তা থাকতে পারে। তা হল, বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে প্রার্থী নিজেই যদি নাম প্রত্যাহার করে নেন। যদি বলেন, নৈতিকতার দিক দিয়ে আমার জন্য আইসিসি কলঙ্কিত হতে পারে। তেমন পরিস্থিতি হলে শ্রীনির নাম বদলে নতুন কাউকে চেয়ারম্যান হিসেবে পাঠাতে হবে। বলতে বলতে হেসেই ফেলেন কামাল। সারা পৃথিবীর মতো তিনিও জানেন, ডলার আর টাকার দামও তর্কের খাতিরে কখনও এক হয়ে যেতে পারে। কিন্তু শ্রীনি নিজে ইস্তফা দেওয়ার বান্দাই নন।

শ্রীনির সঙ্গে কি ইদানীং কথা-টথা হয়েছে? কামাল বলেন, “হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এ সব ঝামেলা দেখে ওকে ফোন করেছিলাম। ও বলল, কিছু চিন্তা কোরো না বস। সব ঠিক আছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন