লি-হেশ নেই। দ্বিতীয় সিঙ্গলস প্লেয়ার য়ুকি ভামব্রি পায়ের চোটে শেষ মুহূর্তে দলের বাইরে। তা-ও ওয়াকিবহাল মনে করছে, কোরিয়াকে তাদের দেশের কোর্টে হারানোর সুবর্ণ সুযোগ এ বারই ভারতীয় ডেভিস কাপ দলের সামনে। আর সেটা হলে কোরিয়ার বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে পঞ্চম সাক্ষাতে ভারত শুধু প্রথম বার জিতবেই না, ২০১১ সেপ্টেম্বরের পর ফের ডেভিস কাপে কুলীন গোষ্ঠীভুক্ত হওয়ার দোড়গোড়ায় পৌঁছবে। অর্থাৎ, ওয়ার্ল্ড গ্রুপ প্লে-অফ খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু শুক্রবার থেকে বুসানের আউটডোর হার্ডকোর্টে তিন দিনের ডেভিস কাপ টাইয়ের চব্বিশ ঘণ্টা আগে ভারতীয় দল গঠন নিয়ে টেনিসমহলে প্রশ্ন উঠছে।
নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন আনন্দ অমৃতরাজ অপ্রত্যাশিত ভাবে সাকেত মিনেনির (২৫৬) চেয়ে বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে শতাধিক ধাপ পিছনে থাকা সনম সিংহকে (৩৭১) দ্বিতীয় সিঙ্গলসের জন্য নির্বাচিত করায়। তা ছাড়া দু’মাস আগে চিনা তাইপের বিরুদ্ধে ভারতের শেষ ডেভিস কাপে সাকেত ডাবলস ও রিভার্স সিঙ্গলস দুটোই জেতেন। বিজয় অমৃতরাজের সহোদরের যুক্তি, “এখানকার মাঝারি গতির হার্ডকোর্টে সাকেতই আমাদের সেরা পছন্দ। ওর খেলাটা একেবারে এ ধরনের কোর্টের উপযোগী।” বস্তুত আনন্দ মনে করছেন, বুসান-কোর্টের মাঝারি গতি গোটা ভারতীয় দলের জন্যই উপযোগী হবে অ্যাওয়ে টাইয়েও।
শুক্রবার প্রথম সিঙ্গলসে এই টাইয়ে দু’দল মিলিয়ে সেরা র্যাঙ্কিং সোমদেব দেববর্মন (৮৮) খেলবেন কোরিয়ার চুং হাইয়েওনের (৩৭৭) বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচে সনমের প্রতিপক্ষ কোরিয়ার এক নম্বর প্লেয়ার লিম ইয়ং (৩০০)। শনিবার ডাবলসে বিশ্বের ১৪ নম্বর রোহন বোপান্নার পার্টনার মিনেনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগ সার্ভার ভারতীয় জুটি লি তাইক-সাং উ জুটির বিরুদ্ধে সর্বোত ফেভারিট। রবিবার রিভার্স সিঙ্গলস। আনন্দ তাঁর দল নির্বাচনের সপক্ষে আরও বলেছেন, “মিনেনিকে আরও সিঙ্গলসের বাইরে রেখেছি যাতে ও এই টাইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে অতি গুরুত্বপূর্ণ ডাবলস খেলার সময় সম্পূর্ণ তাজা থাকতে পারে।” কিন্তু অনেকের প্রশ্ন, সনম সম্প্রতি ভারতে পরপর দু’টো আইটিএফ ফিউচার্স ফাইনাল খেলে ফর্মে থাকার ইঙ্গিত দিলেও তার একটার ফাইনালে হার্ডকোর্টেই হারেন মিনেনির কাছেই। আবার দু’দলের লাইন আপের বিচারে এটাও অনেকে মনে করছেন, কোরিয়া এ বার অনেকটাই দুর্বল। ফলে লি-হেশরা যা পারেননি, সেই কোরিয়ার মাটি থেকে অধরা ডেভিস কাপ জয় সোমদেবরা এ বার আনতেই পারেন।
জেলায় সিএবি কোচেরা
এ বার বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। ভিশন ২০২০ প্রকল্পের জন্য জেলা থেকে ক্রিকেট প্রতিভা খুঁজে বেছে নিয়ে আসবেন আব্দুল মুনায়েম, চরণজিৎ সিংহদের মতো ১৪ জন প্রাক্তন। ৭-৮ এপ্রিল দুই চব্বিশ পরগনা দিয়ে এই অভিযান শুরু করবেন তাঁরা। ওই দিনই মুরলী-ওয়াকারদের বাছা স্পিনার ও পেসারদের ট্রেনিং শুরু হবে ইডেনের জিম-ইন্ডোরে ও সল্টলেকের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।
অন্য খেলায়
ঐক্য সম্মিলনীর ফুটবল ট্রায়াল ১০-১২ এপ্রিল বিকেল তিনটেয়। গ্রিয়ার মাঠে।