রেফারিকে নিয়ে নাটক। রবিবার যুবভারতীতে। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস
ইস্টবেঙ্গল -১
ভারত এফ সি-১
আইএসএল টিমগুলোর কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর ভুলে ভরা সিদ্ধান্তের জন্য। সেই ধারা আই লিগেও বজায় রাখছেন তেজস নাগভেঙ্কর। গোয়ান রেফারির বদান্যতায় রবিবার যুবভারতীতে র্যান্টির গোলে এগিয়ে গিয়েও তাই জিতে ফেরা হল না ইস্টবেঙ্গলের। নিট ফল, ভারত এফসি-র কাছে আটকে গিয়ে মঙ্গলবারের ডার্বির আগে কিছুটা হলেও কপালে ভাঁজ বাড়ল আর্মান্দো কোলাসোর। এর সঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো জুড়বে বলজিত্, ডিকাদের গোল মিসের ফ্যাক্টরও।
দ্বিতীয়ার্ধে ভারত এফসি যখন সমতা ফেরাচ্ছে গোটা মাঠ দেখল, গোলদাতা ক্রিস ব্রাইট হেডের সময় লাল-হলুদ কিপার শুভাশিস রায়চৌধুরীর পাঁজরে কনুই চালালেন। পরিষ্কার ফাউল। রেফারি চোখ বঁুজে রইলেন। ম্যাচ শেষে রেফারির উপর রাগে গজগজ করছিলেন মেহতাব, খাবরারা। সাংবাদিক সম্মেলনে এসে ভারত এফসি কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস পর্যন্ত মুখে তির্যক হাসি ঝুলিয়ে বলে গেলেন, “কুড়ির মধ্যে উনিশ বার ওটা গোল হয় না।” আর আর্মান্দো হতাশ গলায় বললেন, “ছেলেদের আজ জেতার তাগিদ ছিল। কিন্তু এ রকম রেফারিং হলে কী আর বলব! প্রতিবাদ করেও তো লাভ হবে না।”
ফিফা প্যানেলের এই রেফারির পরীক্ষা নিতে সিঙ্গাপুর থেকে যুবভারতীতে হাজির ছিলেন এএফসি রেফারি রিক্রুটার বিশ্বনাথন। ফেডারেশনের তরফে গুলাব সিংহ চৌহানও। তাঁদের সামনেই একাধিক ভুল, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে দোনোমোনো করলেন তেজস। যা দেখে আই লিগে লাল-হলুদের ভবিষ্যতের চেয়েও মাঠ-ফেরত দর্শকদের প্রশ্ন, আর কত দিন তেজসদের ভুলের শিকার হয়ে জৌলুস হারাবে আই লিগ!