আর্মান্দো কোলাসো এখন শাঁখের করাত ইস্টবেঙ্গলের।
সকালে অনুশীলনে আসছেন, অথচ বিকেলে কর্তারা ডাকলে ‘অসুস্থতা’র কারণ দেখিয়ে এড়িয়ে যাচ্ছেন সভা। গোয়ায় গেলে টিমের সঙ্গে হোটেলে থাকছেন না। আবার ফেরার সময়ও একসঙ্গে ফিরছেন না। থেকে যাচ্ছেন ‘ডাক্তারকে দেখাব’ বলে। এতে বিরক্ত হলেও সামনে গুরুত্বপূর্ণ আই লিগের ম্যাচ ও ডার্বি বলে সব হজম করছেন লাল-হলুদ কর্তারা। প্রকাশ্যে কিছু বলতে চাইছেন না। ক্লাব সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সকালে কোচকে চিঠি দিয়েছেন সচিব কল্যাণ মজুমদার। যা কার্যত শো-কজের মতোই। বেশ কড়াও। চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন তিনি সালগাওকর ম্যাচের পর টিম ফিরে এলেও থেকে গিয়েছিলেন গোয়ায়? কেন দু’টো প্রেস কনফারেন্সে যাননি? কেন ডাকা সত্ত্বেও কর্তাদের সভায় আসেননি? ক্লাবের শীর্ষস্থানীয় একাধিক কর্তা চিঠির কথা স্বীকার করলেও যিনি চিঠি দিয়েছেন সেই কল্যাণবাবু এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। বরং ধোঁয়াশা রেখে তিনি বলে দেন, “সকাল থেকে শুনছি চিঠির কথা। আমি কিছু বলছি না।” আর ক্লাবের ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্যের ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, “উনি তো অনুশীলনে আসছেন। এখনও বলেননি কোচিং করাবেন না। তা হলে সমস্যা কোথায়? ডার্বির পর ওঁর সঙ্গে কথা বলব। জানতে চাইব কোনও সমস্যা আছে কি না?” যা থেকে পরিষ্কার, থাকা না-থাকার ব্যাপারটা আর্মান্দোর উপরই ছেড়ে দিতে চাইছেন কর্তারা। ক্লাব সূত্রের খবর, কড়া চিঠি পেয়ে আর্মান্দো নিজে ছেড়ে দিলে আপাতত সহকারী কোচ সুজিত চক্রবর্তীকেই পুরো দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। নতুন কোচ হিসাবে কারও নাম চূড়ান্ত না হলেও আলোচনা সীমাবদ্ধ রয়েছে ট্রেভর মর্গ্যান এবং এলকো সতৌরির মধ্যেই।
আর্মান্দোকে নিয়ে জল ঘোলা হওয়ার মাঝেই ইস্টবেঙ্গলের জন্য সুখবর, মঙ্গলবারের ডার্বিতে পুরো স্টেডিয়ামের টিকিটই বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। যুবভারতী থেকেও ম্যাচের দিন টিকিট বিক্রি করা যাবে।