লালকমলকে নিল বাগান

আর্মান্দোর সঙ্গে চুক্তি করতে গোয়া যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা

চার বছর পর ফের মোহনবাগানে ফিরলেন দেশের অন্যতম সেরা মিডিও লালকমল ভৌমিক। শনিবার এক বাগান কর্তার অফিসে বসে এক বছরের চুক্তি সই করে দেন ইউনাইটেড স্পোর্টসের ফুটবলার। গত মরসুমে ইউনাইটেডের আর্থিক দূরবস্থার মধ্যে যে ক্লাবের দল তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই ক্লাব কেন ছাড়লেন সোদপুরের ছেলেটি? যোগাযোগ করা হলে বললেন, ইউনাইটেড আমার কাছে পরিবারের মতো ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৪ ০২:০৪
Share:

চার বছর পর ফের মোহনবাগানে ফিরলেন দেশের অন্যতম সেরা মিডিও লালকমল ভৌমিক। শনিবার এক বাগান কর্তার অফিসে বসে এক বছরের চুক্তি সই করে দেন ইউনাইটেড স্পোর্টসের ফুটবলার।

Advertisement

গত মরসুমে ইউনাইটেডের আর্থিক দূরবস্থার মধ্যে যে ক্লাবের দল তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন সেই ক্লাব কেন ছাড়লেন সোদপুরের ছেলেটি? যোগাযোগ করা হলে বললেন, “ইউনাইটেড আমার কাছে পরিবারের মতো ছিল। ওখানকার ঘরোয়া পরিবেশ খুব মিস করব। পেশাদার ফুটবলারদের জীবনটাই এ রকম। আসলে, আর্থিক সমস্যা সমাধানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত।” পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, “এক বছরের জন্য চুক্তি করেছি। পুরনো ক্লাবের জার্সি নতুন করে পরলে চ্যালেঞ্জ অনেক বেড়ে যায়।” গত বছর চোটের জন্য খেলতে পারেননি লাল। তা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গলের প্রস্তাবও ছিল। কিন্তু পুরনো ক্লাবে ফিরতেই বেশি আগ্রহী ছিলেন তিনি।

লালকমলের বাগানে সইয়ের দিনে আর এক মিডিও লাল-হলুদের মেহতাব হোসেন এ দিন সমঝোতা করে নিলেন ক্লাবের সঙ্গে। ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে মেহতাবের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল তিন দিন আগে। পাশাপাশি ক্লাবকে না জানিয়ে মেহতাব অস্ত্রোপচার করায় ক্ষুব্ধ ছিলেন কর্তারা। স্বভাবতই চাপে পড়ে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে নিজের ভুলের জন্য ক্লাবের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন মেহতাব। বলেন, “আমার ক্লাবকে জানিয়েই অস্ত্রোপচার করা উচিত ছিল। সেটা না জানিয়ে ভুল করেছি। এর জন্য আমি ক্লাবের কাছে ক্ষমা চাইছি। ক্লাব যা শাস্তি দেবে, মাথা পেতে নেব।”

Advertisement

আর্মান্দো কোলাসোর সঙ্গে মেহতাবের দূরত্ব রয়েছে বলে ময়দানে গুঞ্জন আছে। নতুন মরসুমে আমার্ন্দোই কোচ থাকছেন ইস্টবেঙ্গলের। গোয়ান কোচের সঙ্গে চুক্তি করতে এবং বিদেশি ফুটবলার নিয়ে আলোচনার জন্য কাল সোমবার গোয়া যাচ্ছেন ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার এবং ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য। সন্তোষবাবু বললেন, “কোচ আমাদের সোমবার গোয়া যেতে বলেছেন। ওখানেই বিদেশি এবং স্বদেশি ফুটবলার-- সব বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে।” সেজন্যই সম্ভবত ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি মেহতাব এ দিন বললেন, “আমার সঙ্গে আর্মান্দোর কোনও সমস্যা নেই। গোয়া ফিরে যাওয়ার আগেই কোচ আমাকে ফোন করেছিলেন।” এ দিকে র্যান্টির পাশে আর্মান্দো চিডিকেই চাইছেন। ক্লাবও চিডিকে আর্থিক প্রস্তাব দিয়েছে। তবে চিডি এখনও বলে চলেছেন, “আমি এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।” সূত্রের খবর, গোয়ার কোনও ক্লাবে সুযোগ পেলে কলকাতায় থাকবেন না নাইজিরীয়ান স্ট্রাইকার। তাঁকে গতবারের তুলনায় অনেক কম টাকায় থাকার প্রস্তাব দিয়েছে লাল-হলুদ। ইস্টবেঙ্গল ফুটবল সচিব অবশ্য বলে দিলেন, “র্যান্টির সঙ্গে চুক্তি হয়ে গিয়েছে। তেমন হলে বাকি তিন বিদেশি নতুন করে ট্রায়ালে দেখে বাছব। বাইরে থেকে নতুন ফুটবলার আনলে অনেক কম টাকায় পাওয়া যায়। হাতে সময় আছে। আমাদের বাজেটও কম।” নিট ফল, চিডি, সুয়োকা, উগারা বেশি টাকা দাবি করলে তাঁদের বাদ দেওয়া হবে। এ দিন আবার শিলং লাজং-য়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলেন ইস্টবেঙ্গলের লেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন