ইস্টবেঙ্গলের ন’গোল, খরা মোহনবাগানে

জঙ্গল মহলে যে দিন গোলের ফুলঝুরি ফোটাল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ইস্টবেঙ্গল, সে দিনই সঞ্জয় সেনের বাগানে শুরু হয়ে গেল গোলের জন্য হাহাকার। প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনেও চমকপ্রদ ঘটনা। বাবার দল পয়েন্ট নষ্ট করল। ছেলের টিম জিতল। তবে কলকাতা ছাড়িয়ে লিগের ম্যাচ হল জেলায়। বারাসতে রঘু নন্দীর পুলিশ জিততে পারল না সাদার্ন সমিতির সঙ্গে। ম্যাচ শেষ হল ২-২ ড্র-তে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৫ ০২:৫২
Share:

অপ্রতিরোধ্য ইস্টবেঙ্গলের অ্যালভিটো ডি কুনহা। মাঠে দক্ষতার ছাপ রাখে জঙ্গলমহল একাদশের ফুটবলাররাও। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ।

জঙ্গল মহলে যে দিন গোলের ফুলঝুরি ফোটাল বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের ইস্টবেঙ্গল, সে দিনই সঞ্জয় সেনের বাগানে শুরু হয়ে গেল গোলের জন্য হাহাকার।
প্রিমিয়ার লিগের উদ্বোধনেও চমকপ্রদ ঘটনা। বাবার দল পয়েন্ট নষ্ট করল। ছেলের টিম জিতল। তবে কলকাতা ছাড়িয়ে লিগের ম্যাচ হল জেলায়। বারাসতে রঘু নন্দীর পুলিশ জিততে পারল না সাদার্ন সমিতির সঙ্গে। ম্যাচ শেষ হল ২-২ ড্র-তে। আর রঘুর ছেলে রাজদীপ নন্দীর এরিয়ান ২-১ হারাল বিএনআর-কে। কিন্তু পুলিশ বা এরিয়ানকে নিয়ে সেই অর্থে কম আগ্রহ থাকে ফুটবলপ্রেমীদের। তাঁদের প্রায় সবারই নজর থাকে ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের দিকে। কিছুটা মহমেডানের দিকেও।
এ বার অবশ্য টালিগঞ্জ অগ্রগামীও ভাল দল গড়েছে। আর সেই উগা ওপারার টালিগঞ্জের সঙ্গেই মরসুমের প্রথম ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। সেই ম্যাচের চার দিন আগে র‌্যান্টি-বেলোদের টিমের খুশির হাওয়া। হোক না জঙ্গল মহল একাদশের মতো দুর্বল টিম। খড়গপুরে কিন্তু লাল-হলুদের প্রস্তুতি ম্যাচের ফল হয়ে গেল বিশাল। ৯-১। র‌্যান্টি, ডং, অবিনাশ, প্রহ্লাদ, খাবরা, অ্যালভিটোরা সবাই গোল করে ফেললেন। তবে বিশ্বজিতের টিমে চমক নতুন এক ফুটবলার— দীপেন মুর্মু। তিনি এ দিন হ্যাটট্রিক করে ফেললেন। খড়গপুর থেকে ফিরে বিশ্বজিৎ বললেন, ‘‘টিম ন’গোল করলে সব কোচই খুশি হয়। তবে র‌্যান্টি আর বেলোর খেলা দেখে মনে হল, ওরা নব্বই মিনিট খেলার মতো জায়গায় আসেনি। কিন্তু প্র্যাকটিসের মধ্যেই ছিল। তাই তাড়াতাড়ি ওরা পুরো ম্যাচ খেলার মতো ফিট হয়ে যাবে।’’
সঞ্জয় সেনের চিন্তা আবার পজিটিভ স্ট্রাইকার নিয়ে। বারাসতে মোহনবাগান যাদের সঙ্গে খেলল, সেই রেলওয়ে এফসি প্রিমিয়ার-বি টিম। রেলের এই টিমে বহু দিন কোচিং করিয়েছেন সঞ্জয়। এ দিন ম্যাচে জিততে না পেরে অবশ্য দেশের সেরা কোচের গলায় উৎকন্ঠা। বললেন, ‘‘যারা আছে তাদের নিয়েই খেলতে হবে। ভাল স্ট্রাইকারের অভাব বোধ করছি। দেখি কী হয়!’’ পাঁচ দিন পরেই মহমেডানের বিরুদ্ধে ম্যাচ। তার আগে বাগানের খেলা কিন্তু কারও চোখ টানেনি। ম্যাচ গোলশূন্য ভাবে শেষ হয়। বাগানের কাছে খারাপ খবর, চোটের জন্য দু’সপ্তাহ মাঠের বাইরে চলে গেলেন শিল্টন পাল। চোট সারাতে বাগান কিপার গেলেন মুম্বইতে।

Advertisement

এ দিকে কলকাতা লিগের অন্য ডিভিশনের ম্যাচ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় ক্লাবগুলো। কার্যত বন্ধ হয়ে থাকা প্রথম ডিভিশনের লিগ চালু করতে উদ্যোগী হল আইএফএ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন